তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে ১৪ বছর ধরে বিদ্যালয়ের করুন অবস্থা

গৌরীপুরে ১৪ বছর ধরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুন অবস্থা
[ভালুকা ডট কম : ১৭ সেপ্টেম্বর]
দেখলে মনে হবে, বন্যায় প্লাবিত এলাকা অথবা কোনো জলাশয়। সেই জলাশয়ের পাশেই আছে বিদ্যালয়ের একটি পাকা ঘর। সেখানে  প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। জলাবদ্ধ জায়গাটি ওই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। তবে সেখানে খেলাধুলার সুযোগ নেই। সেখানে খেলা করে হাঁস । গত বছর এই বিদ্যালয় মাঠে মাছ চাষ করা হয়েছে ।

বছরে প্রায় ছয় মাস খেলাধুলা থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত থাকলেও নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ সরকারী বিদ্যালয়ের মাঠ। ছয় মাস ধরে পানির নিচে থাকায় বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা আর তাদের বিপদ সংকুল যাতায়াত ব্যবস্থা। ২০০৬ সালে নির্মিত হয় স্কুলের এই ভবনটি। নির্মানের পর প্রায় ১৪ বছর ভোগান্তিতে রয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

(১৭ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। করোনায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না। যদি স্কুল খোলা থাকলে ভোগান্তিতে পড়তো শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক  ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে এই  বিদ্যালয়ে । মাঠটি খানিকটা নিচু হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে ছয় মাস ধরে পানির নিচে ডুবে থাকে। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন ‘বছরের ছয়-সাত মাস মাঠে হাঁটুপানি জমে থাকে। ছোট্র শিশুরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারে না। স্কুলে এসে সারা দিন কক্ষে বন্দী হয়ে থাকতে হয় তাদের।এখন করোনায়,বন্ধ তাই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেনা। দীর্ঘ সময় ধরে এব্যাপাওে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়,লেখালেখি হওয়ার পরও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থ নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্লাহ জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে  মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান রিপিয়ারিং কাজ শেষ হলে পরে  আমি ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ করবো।  তিনি মাঠটিতে মাটি ভরাটের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষক আমাকে অবহিত করেছেন আমি বলে দিয়েছি ইউএনও স্যার বরাবর লিখিত আবেদন করতে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই