তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাস্তার ধীরগতির কাজে দুর্ভোগে অর্ধ-শতাধিক গ্রামের মানুষ

রাস্তার ধীরগতির কাজে দুর্ভোগে অর্ধ-শতাধিক গ্রামের মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ অক্টোবর]
নওগাঁর পার্শ্ববর্তি বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার গোলচত্বর থেকে মালশন মোড় পর্যন্ত রাস্তার ধীরগতির কাজে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রামের মানুষ। গত ৪মাস আগে পৌর শহরের প্রায় ২কিলোমিটার এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তায় ইটের খোয়া আর বালু ফেলার পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিাকার প্রতিষ্ঠান নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণে একদিকে যেমন সরকারের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীদের।

জানা যায়, এই রাস্তার কাজ গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দুই মাস কাজ চলার পর ৪মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট একটা সময় থাকায় যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মালশন, ছাতনী, ঢেকড়া, রাণীনগর উপজেলার প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রামের হাজারো মানুষ আসা যাওয়া করে। চলে হাজারো ছোট বড় যানবাহন। কিন্তু গোলচত্বর থেকে মালশন পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার এই রাস্তায় যানবাহনে চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। আর পায়ে হেঁটে চলাচল পথচারীদের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। সচেতনমহল বলছেন রাস্তার এই ধীরগতির কাজের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এ বিষয়ে পৌরসভার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে আজ-কাল করে সময় পার করছেন। অথচ ঠিকমতো কাজ চললে খুব তারাতারি এই রাস্তা সংস্কার হবে বলে জানান জনসাধারণ। এমন জরাজীর্ণ রাস্তাটি এভাবে আর কতদিন থাকবে নাকি অচিরেই সংস্কার হবে এ প্রত্যাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি।

রাণীনগর থেকে আসা এক অটোরিকশা চালক সুজন সরদার বলেন, অন্য কোনো রাস্তার সমস্যা নাই, এই ২কিলোমিটার রাস্তা পার হতে গিয়ে আমার গাড়ির বারোটা বেজে যায়। যার কারণে গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। আর যাত্রীদের কষ্ট তো আছেই। সান্তাহার জংশনে ট্রেনের যাত্রী নিয়ে রাতে কিংবা দিনে আমাদের বহুবার যাওয়া-আসা করতে হয়। এই রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

ছাতনী গ্রাম থেকে আসা কামাল হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে সময় বেশি লাগে যে কারনে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। রাস্তা সংস্কার হলে চলাচলের খুব সুবিধা হবে।

সান্তাহার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা চেষ্টা করবো যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে রাস্তার কাজটি শেষ করার।=সান্তাহার পৌরসভা মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ করতে দেরি হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তার কাজের মালামাল টেস্টের জন্য স্যাম্পল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই