তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

লিয়াজু ছাড়া কাজ হয় না রাণীনগর মহিলা বিষয়ক দপ্তরে

লিয়াজু ছাড়া কোন কাজ হয় না রাণীনগর মহিলা বিষয়ক দপ্তরে ॥ বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত সুবিধাভুগিরা
[ভালুকা ডট কম : ০৯ অক্টোবর]
গ্রামীণ নারীদের ভাগ্য উন্নয়নের মাঠ পর্যায়ের সরকারী প্রতিষ্ঠান নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এই দপ্তরের কর্মকর্তার শক্তিশালী দালাল চক্রের  ইশারা আর কর্মচারীদের সঙ্গে লিয়াজু ছাড়া কোন কাজ হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার তার দপ্তরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ দম্ভের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়ে সবকিছু নিয়ম মাফিক চলছে বলে দাবী করেছেন।

একাধিক অভিযোগে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তিবর্গ একই কর্মস্থলে বছরের পর বছর থাকার সুযোগে নিজের মতো করে গড়ে তোলা একাধিক শক্তিশালী দালাল চক্রের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অসহায় নারীদের শোষন করার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সরকার নারী উন্নয়ন ও সমতার লক্ষ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলেপমেন্ট গোল (এমডিজি) ও দারিদ্র বিমোচনের জন্য এগিয়ে নিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করলেও এসব ক্ষেত্রে রাণীনগর উপজেলার চিত্র উল্টো পথে চলার মতোই। সুবিধা ভোগীদের নিকট থেকে কিভাবে অবৈধ সুবিধা আদায় করা যায় সেটা নিয়েই তারা বেশি মনোযোগী ।

সমাজে পিছিয়ে পড়া, অসহায় ও নি:স্ব নারীদের ৩মাসের সেলাই, বিউটিফিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় কিন্তু এখানে দালাল চক্রের সাথে সমঝোতা করা ছাড়া কেউ কোন প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার ঘটনা কালে ভদ্রে হতে পারে। অধিক অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্যরাও অবৈধ সুবিধা দিতে দিতে না পারায় হাতের নাগালের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় কমিটির নির্দিষ্ট সদস্য ছাড়া ওই দপ্তরের কোন কর্মচারীর উপস্থিত থাকার কোন নিয়ম না থাকলেও ওই দপ্তরের একাধিক কর্মচারী সাক্ষাত বোর্ডে উপস্থিত থেকে তাদের পছন্দ মাফিক প্রার্থীদের চ’ড়ান্ত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে লিয়াজু করে অতিদরিদ্র-হতদরিদ্রদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ভিজিডি-ভিজিএফের তালিকা চ’ড়ান্ত করা হয়। যারা উৎকোষ দিতে পারে তারাই তালিকাভুক্ত হয় আর প্রকৃত সুবিধাভুগিরা তালিকার বাহিরে থাকেন।

মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি মাতৃত্বকালীন ভাতাভুগিদের নিকট থেকে আদায় করা একটি নির্দিষ্ট অংশের ভাগ দালাল চক্রের মাধ্যমে হাত বদল হয়ে ওই অফিসে চলে যায়। ব্যতিক্রম ঘটলেই ঠুকনো ভ’লভ্রান্তি তুলে ধরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হয়রানী করারও অভিযোগ রয়েছে।

এই দপ্তরে কোন তথ্য নিতে গেলে নানা তালবাহানা করার অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের দায় এড়াতে বলা হয় আগের কর্মকর্তা সব ফাইল নিয়ে গেছে অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। ফলে অসংখ্য অনিয়ম, অসংগতি ও দুর্নীতির ঘটনা অন্ধাকেরই থেকে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, অনেকেই অভিযোগ করে বলেন যারা বিভিন্ন সুবিধা এই দপ্তর থেকে পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে দেওয়া হয় না। অফিসের কিছু প্রভাবশালী কর্মচারী রয়েছেন যারা তাদের সঙ্গে লিয়াজু করেন সেই সব নারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছে।

এই দালালী নেটওয়ার্কের কারণে অনেক প্রকৃত অসহায়, গরীব, দু:স্থ ও নি:স্ব নারীরা সরকারের বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে। একাধিক অসমর্থিত সূত্রের দাবী, নিজেদের তৈরি দালাল চক্রের বেপরোয়া গুন্ডির মধ্যেই থেকেই কাজ করতে হচ্ছে। দালাল নির্ভর ওই সব ব্যক্তিবর্গকে অবিলম্বে বদলীর জন্য ভ’ক্তভোগী ও সচেতন মহলের জোড় দাবী জানিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন মহিলা বিষয়ক দপ্তরের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই