তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাড়িঘর নির্মাণ

সখীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গাছপালা কর্তন বাড়িঘর নির্মাণ
[ভালুকা ডট কম : ২১ অক্টোবর]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আদালত কর্তৃক  বহুরিয়া মৌজার ৪৩৯ দাগের ৯৯ শতাংশ জমির অবস্থা অপরিবর্তনে উভয়পকের উপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা  ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে এক পক্ষের বিরুদ্ধে জমির উপর বসতবাড়ি নির্মাণ ,গাছ ও বাঁশ কাটার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের মৃত সামেদ আলীর ছেলে আবেদালীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের মৃত গফুর হাজীর ছেলে  আলহাজ মাওলানা মো. শামসুল হক তাদের দখলীয় ওই সম্পত্তির সকল কাগজপত্র দাখিল করে মোকাম টাঙ্গাইলের সখিপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জমির অবস্থা অপরিবর্তনের আবেদন করলে আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। আদালত সার্বিক বিবেচনা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপত্তি শুনানীর পূর্ব পর্যন্ত ওই জমির স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু  আবেদালী মানতে নারাজ ওই নিষেধাজ্ঞা। সে ওই জমির অবস্থা পরিবর্তন করে ইতোমধ্যেই  মাটি ভরাট করে বসতবাড়ি, গোয়ালঘর নির্মাণ, গাছপালা ও বাঁশ কেটে বিক্রি করছেন।

জানা যায়, ওই ৯৯ শতাংশ ভূমিসহ আরো বহু ভূমি সাবেক থানা বাসাইল এর অন্তর্গত বহুরিয়া চতল বাইদ মৌজার ডিঃ  সেঃ মেঃ জরীপ ২নং খতিয়ানে আটিয়া পরগনা ৯-১২/১৬/৫০৩১-৫০৩৫/৫১৫১/৫১৫৩ নং তৌজির মালিক জমিদার দেলদুয়ার নিবাসী সৈয়দ ফয়জল বারী, মহম্মদ আলতাব আলী চৌধুরী জীবিত স্বত্বে ইজারা দখল সৈয়দ আবদুল ছোবান চৌধুরী গং এবং করটিয়া জমিদার মৌঃ ওয়াজেদ আলী খান পন্নী এবং হায়দার আলী খান পন্নী এবং ঢাকার নবাব হবিবউল্লাহ গংসহ অন্যান্য জমিদারদেরও মালিকী স্বত্বে স্বত্ববান দখলদার থাকাবস্থায় উক্ত মালিকগন প্রজা পত্তন দেওয়ার ঘোষণা দিলে  মাওলানা শামসুল হকের বাবা হাজী আবদুল গফুর মিয়া জমিদার মৌঃ ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওয়াকফ এবং মৌঃ হায়দার আলী খান পন্নী ওয়াকফ এস্টেট হইতে  ১৩৪৮ সনের ১৪ মাঘ পৃথক দুটি পত্তনে ওই ৪৩৯ দাগের ৯৯ শতাংশ জমির মালিক হন।

ওই ৯৯ শতাংশ জমি গত প্রতারণা করে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর  প্রতিবেশী মৃত সামেদ আলীর ছেলে আবেদালী নিজেকে ভূমিহীন দাবি করে তথাকথিত ৩৮১৭/১০নং ভূমিহীন বন্দোবস্ত কবুলিয়তনামা করে  জমিটি জোরপূর্বক দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ, গাছপালা ও বাশ কেটে নেন। পরে মাওলানা মো. শামসুল হক তাদের দখলীয় ওই সম্পত্তির সকল কাগজপত্র দাখিল করে মোকাম টাঙ্গাইলের সখিপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদমান জমির অবস্থা অপরিবর্তনের আবেদন করলে আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং জমির মালিকানা নিষ্পত্তির জন্য আদালত সার্বিক বিবেচনা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপত্তি শুনানীর পূর্ব পর্যন্ত ওই জমির স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে আবেদালীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি মুঠোফোন কেটে দেন। মাওলানা মো. শামসুল হক  আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী আবেদালী ও তার লোকজনের বিচার দাবি করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই