তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ঘুষের টাকা না পেয়ে মাল্টা ও লেবু বাগান ধ্বংস

ভালুকায় ঘুষের টাকা না পেয়ে মাল্টা ও লেবু বাগান ধ্বংস করে দিলেন বন কর্মকর্তা
[ভালুকা ডট কম : ২৯ অক্টোবর]
ভালুকা উপজেলার ঝালপাজা এলাকায় চুক্তিকৃত ঘুষের ৫লাখ টাকা না দেয়ায়  ক্ষোব্ধ হয়ে মাল্টা ও লেবু বাগানের গাছ উপড়ে ফেলে দিলেন হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি বাগান মালিকের পক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সূত্রে জানাযায়, ঢাকার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রিয়াজ ও রিপন মিয়া ঝালপাজা মৌজার মোট ৬টি দাগে মোট ৫০বিঘা জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রেতা ২০৭ ও ২০৮নং দাগে ৮জন বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমির মালিকদের কাছ থেকে ১০.৬৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর জানতে পারেন ২০৭ ও ২০৮নং দাগ দুটিতে বনের আপত্তি রয়েছে এবং বনের গেজেটভূক্ত জমি। জমি ক্রয়ের পর মালিক পক্ষ জানতে পারেন দাগ দুটি বন বিজ্ঞপ্তিভূক্ত। সেই প্রেক্ষিতে জমি ক্রেতাদ্বয় ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) বরাবর দুটি মিস মোকদ্দমার যার নং ০৬/১৫ ও ৩২/২০১৮ইং দায়ের করেন। ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার রেজাউল করিম রিয়াজ গংদের পক্ষে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) এর আদালতে বনবিভাগ আপিল করেন। ওই আদালতে ও গত ৫অক্টোবর বনের বিপক্ষে রায় হয়। রায়ে ২০৭ ও ২০৮নং দাগের ৯.৯৮একর জমি বন থেকে অবমুক্ত করে দেয় হয়। গত ৪ মাস পূর্বে জমির মালিকগণ ওই জমিতে এগ্রো প্রজেক্ট শুরু করলে সেখানে মাল্টা ও বেলু বাগান শুরু করেন।

মাল্টা ও বেলু বাগান শুরু করলে হবিরবাড়ি বিট অফিসার দেওয়ান আলী তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়া শুরু করেন। এ সময় বিট অফিসার দেওয়ান আলীর সাথে জমির মালিকদের স্থানীয় প্রতিনিধি রাসেলের ১০লাখ টাকা ঘুষ দাবী  করেন। রাসেল দেওয়ান আলীকে ৫লাখ টাকা ঘুষ দেন। বাকী ৫লাখ টাকা ৪/৫মাস দেয়া পরে দিবে বলে চুক্তি হয়। ইতিমধ্যে বন আদালত থেকে জমির মালিকদের পক্ষে বন থেকে অবমুক্তির একটি রায় দেয়া হয়। গত কয়েক দিন যাবত দেওয়ান আলী বাকী ৫লাখ টাকা দাবী করলে জমির মালিকগণ সেই টাকা দিবেনা বলে জানিয়ে দিলে ঘটনার দিন দুপুরে হবিরবাড়ি বিটঅফিসার দেওয়ান আলী মল্লিকবাড়ি বিট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্রসহ কর্মচারী ও ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে মাল্টা ও লেবু  বাগানের সাড়ে ৭হাজার গাছ উপড়ে ফেলে। এ সময় বাগানের কর্মচরীরা বন বিভাগকে বাধা দিলে তাদেরকে গ্রেফতার করার হুমকি দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যায় বাগান মালিকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন বন আদালত থেকে আমাদের পক্ষ রায় দেয়ার পর কেন আমাদের পুরো মাল্টা ও লেবু বাগান গাছ উপড়ে ফেলে দিল।

রাসেল মিয়া জানান,৪মাস পূর্বে মাল্টা ও লেবু চারা লাগনোর সময় বিট অফিসার দেওয়ান আলী বাঁধা দিয়ে ১০লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। তার সাথে চুক্তি মোতবেক তখন ৫লাখ টাকা দেই ৪/৫পর বাকী টাকা দেয়ার কথা ছিল। বন আদালতের রায় পাওয়ার পর বাকী টাকা না দেয়ার ক্ষোব্ধ হয়ে রেঞ্জ ও বিট অফিসারের নেতৃত্বে পুরো বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিট অফিসার দেওয়ান আলী জানান, আমরা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনের বরাবর মিস কেইস দুটি আপিল করেছি। দাগ ২টি বনের গেজেট ভূক্ত সেই জমি আমরা উদ্ধার করেছি। ৫লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং ৪মাস পর কোনো টাকা নেয়ার কথা ছিল না। জমি ক্রেতারা ৪মাস পূর্বে যখন মাল্টা ও লেবু বাগান করে তখন তাদেরকে কেন বাধা দিলেন না প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনো সদোত্তর দিতে পারেনি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই