তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা পৌরসভা নির্বাচন

ভালুকায় আ’লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিএনপি থেকে একক প্রার্থী
[ভালুকা ডট কম : ১৫ নভেম্বর]
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভা থেকে আ’লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর থাকলেও বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে কাজ করছে। উভয় দলের প্রার্থীরা পাড়া মহল্লায় সকাল বিকাল গণ সংযোগ করে যাচ্ছেন।

গত ২০১৫সালের ৩০ডিসেম্বর ভালুকা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যাপক ভোট লুট, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বেলা ১২টার সময় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কট করেন। বর্তমানে ভালুকা পৌরসভায়  মোট ৯টি ওয়ার্ডের মাঝে মোট ভোটার ২৫হাজার ৩৯জন। এ মাঝে পুরুষ ভোটার ১২হাজার ৬শত ৭৯জন ও নারী ভোটার ১২হাজার ৩শত ৬০জন।

পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে রয়েছেন উপজেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক,বর্তমান মেয়র ডা.একেএম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম,পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি,সাবেক পৌর মেয়র মরহুম মফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে সালাহ উদ্দিন সরকার, মুুক্তিযোদ্ধা সন্তান কামান্ডের সাবেক আহবায়ক সাদিকুর রহমান তালুকদার, বর্তমান এম,পি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর ভাগনে,ভালুকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির,সভাপতি ফজলুল আমীন লিটন ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ পারভেজ গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া বিএনপি থেকে একক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলহাজ্ব হাতেম খান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক গণ সংযোগ করে যাচ্ছেন। হাতেম খান গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে তৃণমূলে আলোচনায় রয়েছেন।

আ’লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের তৃণমূল, উপজেলার নেতা,এমপি ও দলের হাইকমান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে লবিং করে যাচ্ছেন।বিরোধী দল থেকে নির্বাচন করাটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ থাকায় অনেকের নির্বাচনে ইচ্ছা থাকলেও  প্রার্থীতা প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে লিফলেট ছাপিয়ে গণসংযোগ করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। মহামারি করোনাকালীন সময় কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা করোনা কালীন সময় খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, এবং মাস্ক,সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করতে দেখা গেছে। তবে করোনার কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ও মোবাইল ফোনে খোঁজ খবর নিতেও দেখা যায়।

সম্ভাব্য প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকার বলেন, আমার বাবা আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন সরকার ভালুকা পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতাকালী নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে একবার পৌর মেয়র ছিলেন। এ ছাড়াও আমার বাবা চার বারের ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদের ৪বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার বাবা জনপ্রিয়তা ও পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে আসন্ন পৌর নির্বাচন প্রার্থীতা প্রকাশ করেছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলীয় ভোট ও আমার বাবার ভালবাসার মানুষ গুলো আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

আলহাজ্ব হাতেম খান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবত পৌর বাসীর সুখে দুঃখে কাজ করে যাচ্ছি। করোনা কালীন সময়ে  আমি ব্যক্তিগত ভাবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অসহায় মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দান করেছি। পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাসা লকডাউন করে এসে তাদের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। আমি নিজে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাসায় গিয়ে তাদের ও আশপাশের পরিবারের লোকজনকে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, এবং মাস্ক,সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি পৌঁছে দিয়েছি। গত নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ভোট ডাকাতি ও লুট না করলে আমি গত বছরই মেয়র নির্বাচিত হতাম।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই