তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় ইজ্জতের মূল্য লাখ টাকা,নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভ’গি

নওগাঁয় ইজ্জতের মূল্য লাখ টাকা,নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভ’গি
[ভালুকা ডট কম : ০৭ জানুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগরের বড়গাছা বাজারের হাট ঝাড়ু দেওয়া এক মহিলার ইজ্জতের মূল্য লাখ টাকায় মিটমাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ভুক্তভ’গিকে কোন অর্থ না দিয়েই জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকির কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ওই ভুক্তভ’গি।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বড়গাছা বাজারের সাপ্তাহিক হাটের এক পাশে একটি কুড়ে ঘরে দীর্ঘদিন যাতব বসবাস করে আসছে বড়গাছা গ্রামের মৃত সাহাদত হোসেনের স্ত্রী সখেদা খাতুন (৪২)। তিনি প্রায় ৯বছর যাতব বড়গাছা হাটখলা ঝাড়ু দিয়ে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রায় ২বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বড়িয়া গ্রামের মৃত সাহাদতের ছেলে আকনা-বাঁশবাড়িয়া মসজিদের ইমাম জাকিরুলের (৫০)। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাকিরুল সুখেদাকে বিয়েসহ নানা রকমের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক মেলামেশা করে আসে। সুখেদা জাকিরুলকে বার বার বিয়ে করার কথা বললে জাকিরুল নানা বাহানায় দিন পার করে।  এক পর্যায়ে জাকিরুল সুখেদাকে ভয়ভীতি দেখায়। সম্প্রতি বিষয়টি সুখেদা তার কাছের মানুষদের বিষয়টি জানালে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এরপর বিষয়টি মিটমাট করার কথা বলে বড়গাছা বাজারের ব্যবসায়ী ও হাট কমিটির সভাপতি জামালসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতারা জাকিরুলের কাছ থেকে ১লাখ টাকা এবং গনমাধ্যকর্মীদের জন্য ২০হাজার টাকা গ্রহণ করে। এদিকে ভুক্তভ’গিকে কোন টাকা না দিয়েই ভয়ভীতি দেখিয়ে সুখেদার কাছ থেকে জোর করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়গাছা বাজারের অনেকেই বলেন সম্প্রতি বড়গাছা বাজারে বসে স্থানীয় নেতারা সুখেদার এই বিষয়টি মিটমাট করার জন্য ১লাখ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য ২০হাজার টাকা রফাদফা করেছে। বড়গাছা বাজারে দরবার করেই এই বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।

ভুক্তভ’গি সুখেদা খাতুন বলেন আমি কোন টাকা পয়সা চাই না। জাকিরুল বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে মেলামেশা করেছে। আমি গরীব ও অসহায় মানুষ। আমি তার সঙ্গে বিয়ে হতে চাই। এই ঘটনার কারণে আমার একমাত্র ছেলে আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করছে না। আমি শুনেছি আমার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ কোন টাকা দেয়নি। বরং কিছু ছেলেরা এসে আমার কুড়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। তারা আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি এখন কি করবো? (সুখেদার মুঠোফোন নং ০১৭৫৬৩২৫১৩৮)।

এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ইমাম জাকিরুল হোসন পলাতক থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এমনকি তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি। (মুঠোফোন নং ০১৭৯৯৬২৭৫১১)।

বড়গাছা হাট কমিটির সভাপতি ও ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন আমি এই বিষয়ে কোন কিছুই জানি না।হাটের ইজারাদার প্রদ্যুত পাল বলেন এই বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কোন পক্ষই এখনও বিষয়টি আমাকে জানায়নি। রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হোননি। (ওসির নং ০১৭১৩৩৭৩৮৩৭)#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই