তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ইটভাটায় পুরছে কাঠ,হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

ভালুকায় ইটভাটায় পুরছে কাঠ,ফল ফসলের ব্যপক ক্ষতি,হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য
[ভালুকা ডট কম : ২১ জানুয়ারী]
ভালুকার বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে অনুমোদন বিহীন প্রায় ১৬টি ইটভাটায় পরিবেশ আইন অমান্য করে দেদারছে লাকড়ি পুরানো হচ্ছে ফলে বৃক্ষ শুন্য হয়ে এলাকার পরিবেশ ধ্ব্ংস হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফল ফসল। অপরদিকে ইটভাটা হতে নির্গত কালো ধূঁয়া মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের মত জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে গর্ভবতী নারী, শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। পাশাপাশি ইটভাটা হতে ক্রমাগত সাদা কালো ধূয়া চারিদিকে ছড়ানোর ফলে কৃষকের ফল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

কৃষকরা জানায় ছাই মিশ্রিত ধূয়া গাছ গাছালী ও ফসলের ক্ষেতে অনবরত পরার কারনে আম কাঠাল লিচুর মুকুল ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অপরদিকে অনবরত ফসলী জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে ইট তৈরীর কাচা মাল হিসেবে ব্যবহার করায় জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পেয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কাঠখড়ি দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে এলাকার ফলদ ও বনজ বৃক্ষের ব্যপক ক্ষতি সাধনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার আশংকা দেখা দিচ্ছে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ যা ১জুলাই ২০১৪ হতে কার্যকর এ বলা হয়েছে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ, উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজাগ ক্লিন,হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন, ভাটিকেল সফটক্লিন বা অনুরুপ উন্নত প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। এ ছারা আবাসিক, জনবসতিপুর্ণ সংরক্ষিত বনভূমি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবেনা। বনাঞ্চল হতে কমপক্ষে ২ কিলোমিটার দুরে ভাটা স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র,জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ও লাইসেন্স ব্যতিত ইটভাটা স্থাপন করা যাবেনা। এসব নিয়ম অমান্যকারীর বিরুদ্ধে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও অজ্ঞাত কারনে বছরের পর বছর অনিয়মকেই পুঁিজি করে ভাটা মালিকরা বীর দর্পে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভালুকার খারুয়ালী, মেদিলা, ভান্ডাব, মেদুয়ারী,রাংচাপড়া,বিরুনিয়া,ধলিয়া পলাশতলী, শান্তিগঞ্জ, চান্দরাটি ও উড়াহাটি এলাকায় ১৫/১৬ টির মত ইটভাটা রয়েছে যে গুলির অধিকাংশই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র বিহীন। ময়মনসিংহ পরিবেশ অদিদপ্তরের তথ্যমতে ভালুকায় একটি মাত্র ইটভাটার ছারপত্র দেয়া আছে বাকি সবগুলিই ছারপত্র বিহীন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভাটা মালিক জানান ভাটা মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই তারা ছারপত্র বিহিন ইটভাটা চালাচ্ছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই