তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে নওগাঁর ১০৫৬টি গৃহহীন পরিবার

মুজিব শতবর্ষে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে নওগাঁর ১০৫৬টি গৃহহীন পরিবার,স্বপ্নের ঘরে ওঠার অপেক্ষায় গৃহহীনরা
[ভালুকা ডট কম : ২২ জানুয়ারী]
লাল, আকাশি ও নীল রংয়ের ছাউনির সারি সারি বাড়ীগুলো দেখে অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের এই সব বাড়ীতে বসবাস করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভ’মিহীন ও গৃহহীনরা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছে ১০৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। “আশ্রায়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যের আলোকে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ বাড়ীর নির্মান কাজ শেষ হবার পর ২৩ জানুয়ারী তাদের হাতে এই উপহারগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হবে।

নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, মান্দা, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার বেশ কয়েকজন উপকারভোগী জানান, নিজেদের কোন ঘর ছিল না। কেউ রাস্তার ধারে আবার কেউ অন্যের জায়গায় পাটখড়ি ও পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ঘরে কোন রকমে থেকেছেন বহু বছর। শুধু তাই নয়; ঝড় বৃষ্টির সময় অহসায় জীবন-যাপন করতে হয়েছে তাদের। কখনোও তারা স্বপ্নেও দেখেনি এমন পাঁকা ঘর। জীবনদশায় তারা এমন মানসম্মত ও আধুনিক মানের পাঁকা ঘরসহ বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা পাবেন তা কল্পনাতেও ছিলো না। আর আজ সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে। পাকা ঘর পেয়ে আমরা বেজায় খুশি। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও দোয়া করেছেন।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকা ঘরগুলোর গুনগত মান রক্ষা করে নির্মান করা হয়েছে। এসব পাকা ঘর পেয়ে খুশি গৃহহীনরা। তারা কোনদিন কল্পনাও করেনি পাকা ঘরে থাকতে পারবে। আর প্রতিটি বাড়ীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১লাখ ৭১হাজার টাকা। বাড়ীগুলোতে দুইটি ঘর, একটি টয়লট, একটি রান্নাঘর, সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। তিনি আরো জানান জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা এই অল্প অর্থের মধ্যেও প্রতিটি বাড়ি তৈরিতে মানসম্মত উপকরন ব্যবহার করেছি। আশা করছি ঘরে যারা বসবাস করবেন তাদের জীবনদশা এবং তাদের পরবর্তি প্রজন্মও নি:সন্দেহে এই ঘরগুলোতে বসবাস করতে পারবে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ জানান, জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, আত্রাইয়ে ১৭৫টি, সাপাহারে ১২০টি, পত্নীতলায় ১১৪টি, মহাদেবপুরে ৩৪টি, রাণীনগরে ৯০টি, বদলগাছীতে ৪৮টি, মান্দায় ৯০টি, ধামইরহাটে ১৫০টি, পোরশায় ৫৪টি ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭১টি বাড়ির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের জন্য এসব বাড়ি নির্মাণ করেছেন যা মুজিব শতর্ষের সেরা উপহার। দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে দুস্থদের বের করে আনার অন্যতম উপায় এটি। একযোগে এতগুলো গৃহহীন পরিবারকে পুর্নবাসিত করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই