তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে অবৈধ কাজীর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ

রাণীনগরে অবৈধ কাজীর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ,সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী
[ভালুকা ডট কম : ২৩ জানুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরকার অনুমোদিত তালিকাভ’ক্ত ৮জন নিকাহ্ (ম্যারেজ) রেজিস্ট্রার রয়েছে। তালিকাভ’ক্ত না হয়েও ৩টি মামলার আসামী ও জেএমবির সক্রিয় সদস্য কাজী বেলাল হোসাইন (৩৬) নিজেকে বৈধ কাজী হিসেবে দাবী করে বিয়ে সংক্রান্ত অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত কাজী বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভ’গি অভিযোগকারী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের নাজিম উদ্দীনের ছেলে বেলাল হোসাইন এসএসসি পাশ না করেও অন্যের সনদপত্র ঘোষামাজা (টেস্পারিং) ও জালিয়াতির মাধ্যমে বড়গাছা ইউনিয়নের নিকাহ (ম্যারেজ) রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স গ্রহণ করে। এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি মামলা হলে চার্জসিট দাখিল হয়। বাল্য বিবাহ ও কাবিন নামার ২লাখ ৫০হাজার টাকা দেনমোহরের স্থলে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ১২লাখ টাকা করায় সিআর মামলা (নং-০১/১৯,রাণীনগর) হয়। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই) নওগাঁর পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১৯সালের ১৯মে ভুয়া কাজী (নিকাহ রেজিষ্ট্রার) বেলাল হোসাইনসহ ৪জনকে অভিযুক্ত করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নওগাঁ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়াও জেএমবির নির্মম অত্যাচারে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা খেজুর হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামী কাজী বেলাল হোসেন। কাজী বেলাল হোসাইন উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও দেয়াল লিখন করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ১০২৩৯/২০১১ এর নির্দেশনার আলোকে তার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। তবুও সে হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করে তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এবং তার রেজিষ্ট্রীকৃত অধিকাংশ বাল্য বিয়ে।

কাজী বেলাল হোসাইন মুঠোফোনে বলেন একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও আমাকে দেখা করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। তাই ইউএনওর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। তবে কি বিষয়ে অভিযোগ তা আমার জানা নেই।

কাশিমপুর ইউনিয়নের সরকারি তালিকা ভ’ক্ত নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও অভিযোগকারী কাজী মো: মোজাফফর হোসেন বলেন বেলালের অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিতে দিতে আমি হাপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। অর্থের বিনিময়ে কথিত কাজী বেলাল সবকিছুই ম্যানেজ করে আসছে। তবুও আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর (২০জানুয়ারী) নতুন করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি আশা রাখি তিনি সঠিক ভাবে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন সরকারি তালিকার বাহিরে কোন ব্যক্তি নিকাহ সংক্রান্ত কোন কাজ করার বৈধতা রাখে না। বেলালের এই সব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম বলেন, রাণীনগর উপজেলার কাজীদের সরকারি তালিকায় বেলাল হোসাইন নামের কোন ব্যক্তির নাম নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত কথিত কাজী বেলাল কিভাবে কোন শক্তির জোড়ে নিকাহ সংক্রান্ত অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে তা আমার জানার বাহিরে।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই