তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমলে স্কুল খুলব, আর অটোপাস নয়-শিক্ষামন্ত্রী

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমলে স্কুল খুলব, আর অটোপাস নয়-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
[ভালুকা ডট কম : ১০ ফেব্রুয়ারী]
বিশ্ব মহামারি করোনার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় একবছর ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেও শিক্ষা প্রতিস্থানগুলো খোলা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি।আজ রাজধানীতে আয়োজিত ‘নিরাপদে স্কুলে ফিরি’ নামক এক প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,পুরোপুরি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে, আমরা কী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ পাব নাকি মার্চ মাসে খোলার চেষ্টা করব। মোটকথা, আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেব না। যখন মনে করব, ঝুঁকিটা খুবই কম, তখনই আমরা স্কুল খুলব।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশসহ ১৫টি উন্নয়ন সংস্থা এই প্রচারাভিযানের আয়োজন করে। এ প্রচারাভিযানের লক্ষ্য হলো সরকারকে সহায়তা করা যাতে করে শিশু, পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,যদি মার্চে স্কুল খুলতে পারি, সেই হিসেবে আমরা নতুন করে এসএসসি ও এইচএসসির জন্য সিলেবাস তৈরি করেছি। এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবসে ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সিলেবাস তৈরি করেছি। এখন যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে একটু দেরি হয়, তাহলে পরীক্ষা আরেকটু পরে নেব।তবে এবার এসএসসি বা এইচএসসিতে কোনো অটো পাস দেয়া হবে না।

ডা. দীপু মনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতি আমাদের সামনে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্মুল্যায়ন ও সংস্কারের একটি সুযোগও তৈরি করেছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ, প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন ও দাতা সংস্থা সবাই একসাথে কাজ করেই শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফেরাতে চায় সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।

ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা মহামারির মধ্যে শিশুদের জন্য স্কুলকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে নিশ্চিতে উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করার পাশাপাশি সরকারকে এটাও ভাবতে হবে মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরে ঝরে পড়া ও বাল্য বিবাহের হারও বেড়ে গেছে। ফলে এই পরিস্থিতির উন্নয়নে কিভাবে কাজ করা যায় তা বের করা জরুইর।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই