তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভাষা শহীদদের জীবনি পাঠ্যপুস্তকে তোলে ধরার দাবি

ভাষা শহীদদের জীবনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকে তোলে ধরার দাবি জানিয়েছেন আব্দল জব্বারের পরিবার
[ভালুকা ডট কম : ২০ ফেব্রুয়ারী]
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদ আব্দুল জব্বারের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ভাষা শহীদ আব্দল জব্বারের নামে  কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়ে শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ হতে সাম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।অপর দিকে শহীদদের জীবনি স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে লিপিবদ্ধ ও দাবি জানিয়েছেন শহীদ আব্দুল জব্বারের পরিবার।

শহীদ আব্দুল জব্বারের ছেলে বীরমুক্তিযুদ্ধা নূরুল ইসলাম বাদল বলেন,বাংলা একাডেমী ভাষা শহীদদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমী শহীদ পরিবার গুলোকে কোন সম্মাননা দেয়নি।এমনকি একুশের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে দাওয়াত পর্যন্ত দেয়া হয় না।ভাষা শহীদদের জীবনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আবেদন নিবেদন করেও কোন সারা পাওয়া যাচ্ছেনা বলে শহীদের ছেলে বীরমুক্তিযুদ্ধা নূরুল ইসলাম বাদল জানান।গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজুল ইসলাম জানান,করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও  স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারির মূল অনুষ্ঠানটি পালিত হবে শহীদ আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি জব্বার নগরে(পাঁচুয়া)।

২০০৮সালের ১ফের্রুয়ারি এডিপির অর্থায়নে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে শহীদ জব্বার স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি উদ্ধোধন করা হয় গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামে(জব্বার নগরে)।কিন্তু আট বছর পেরিয়ে গেলেও ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি আজও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি।গেজেটে অন্তর্ভূক্তি হয়নি জব্বার নগর নাম হিসেবে।জাদুঘরটিতে দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক পত্রিকা সরববাহ বন্ধ।ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার গ্রন্থাগারে ৪হাজার ১৩০টি বই রয়েছে।কিন্তু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এখানে পাঠকের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।গ্রন্থাগারে একটি কম্পিউটার সরবরাহ থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকে সর্বদায়।

ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,ভাষা শহীদদের স্মৃতি চিহৃযুক্ত সব বই এখনও জাদুঘরে নেই।শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি গ্রন্থাগারটি নামে জাদুঘর হলেও শহীদ জব্বারের ছবি ছাড়া ব্যবহৃত কোন বস্ত্র বা জিনিসপত্র এখানে নেই।ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাচুয়া গ্রামে (বর্তমানে জব্বার নগর)১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ ও বাংলা ১৩২৬ সালের ২৬শে আশিন জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতার নাম মোঃ হাসেন আলী শেখ।মাতার নাম মোছাঃ সাফাতুন নেছা।আব্দুর জব্বার ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোষ্টেল প্রাঙ্গনে হাজার হাজার ছাত্র জনতার সমাবেশে যোগ দেন।আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল জব্বার গুরুতর আহত হন।পরে ঐরাতেই(২১ফের্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূত্যু বরণ করেন এবং আজিমপুর  কবরাস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।১৯৪৭ সালে ময়মনসিংহ শহরে সার্কিট হাউজ ময়দানে গিয়ে ভাষা শহীদ আব্দুর জব্বার (পিএনজিতে) যোগদান করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই