তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে হাসপাতালে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ

পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টার
শ্রীপুরে হাসপাতালে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৯ মার্চ]
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তায় পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে রোগীকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার বছরের শিশু সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই রোগীকে মারধোর করা হয়।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।আহত রোগী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার (৩৮) ঝালকাঠি জেলা সদরের রমানাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মীর সিরামিক্স লিমিটেডের কর্মী।

আহতের স্ত্রী রুবিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী কুদ্দুস তালুকদারের বাম পায়ে লোহার কনা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের অভ্যর্থনা শাখায় অসুস্থের ধরণ জানিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ নেন। এসময় হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মীরা পায়ের কণা বের করতে না পারলে ভিজিট ফেরত দেওয়ার শর্তে সাত’শ টাকা ভিজিট নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে দেখে পায়ের কণা বের করতে বিশেষ যন্ত্র না থাকার কথা জানান। ওই যন্ত্রটি এ হাসপাতালে না থাকায় চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরার্মশ দেন।

তিনি জানান, পরে অভ্যর্থনা বুথে রোগী ভিজিট ফেরত চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা ভিজিট ফেরত দিবেন না বলে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। বার বার ভিজিট দাবী করার এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তুহিন আহমেদ এসে রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। তার সাথে হাসপাতালের কর্মীসহ কমপক্ষে ১২ জন রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ঠোঁট, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় তিনি (স্ত্রী) ও রোগীর চার বছরের সন্তান রাহাত হোসেন কান্না শুরু করেন। তাদের কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসলে মারধোর বন্ধ করেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রোগীকে চিকিৎসা শেষ করে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসা নিতে রাজধানীর মিরপুরের ডেলটা হেল্থ কেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে বের হয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের অভ্যর্থনা বুথের কর্মী হাসিব জানান, পায়ে গেঁথে যাওয়া কণা অপারেশন করার জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র রয়েছে, যা এখানে নেই। তাছাড়া তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক অভিযুক্ত তুহিন আহমেদ বলেন, রোগী নিজেও অনেক খারাপ আচরণ করেছেন। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ রোগীর ভিজিট ফেরত না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া রোগীর অসুস্থতার ব্যাপারে চিকিৎসক তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বার্তার এক ফাঁকে রোগীর গায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত লেগে গেছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই