তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বীরাঙ্গনা-শহীদ পরিবারদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও মাহাতো

রাতের আঁধারে বধ্যভ’মি পরিদর্শন ও বীরাঙ্গনা-শহীদ পরিবারদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও মাহাতো
[ভালুকা ডট কম : ৩০ মার্চ]
নওগাঁর রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলাগ্রাম। এই গ্রামের পালপাড়ার অধিকাংশ মানুষই সনাতন ধর্মের লোক। ১৯৭১সালের ২৫এপ্রিল পাকবাহিনী ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামে তান্ডব চালিয়ে ৫২জন সনাতন ধর্মের মানুষকে সাড়িবদ্ধ ভাবে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তাদের মরদেহ গ্রামের একটি স্থানে পূতে রাখে।

পাকবাহিনীর সদস্যরা কয়েকদিনের তান্ডবে ইজ্জত লুটে নেয় অনেক মা-বোনদের। আবার অনেকেই পালিয়ে যায়। আজোও সেই অসহ্য যনন্ত্রা নিয়ে বেঁচে আছেন কয়েকজন বীরাঙ্গনা। অবশেষে সেই সব বীরাঙ্গনারা গত ২০১৯সাল থেকে সরকারি ভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু বধ্যভ’মিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও সংরক্ষনের নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিলেও আজোও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়াও অনেক শহীদ পরিবার এখনো শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পায়নি। সোমবার রাতে সেই ঐতিহাসিক পালপাড়ার আতাইকুলা বধ্যভ’মি পরিদর্শন, শহীদ পরিবার ও বীরাঙ্গনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল আলম, শহীদ পরিবারের সন্তান প্রদ্যুত কুমার পাল, গৌতম কুমার পাল প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন বধ্যভ’মি আমাদের অহংকার। বীরাঙ্গনারা আমাদের জীবন্ত ইতিহাস। তাদের অনেকেই গত হয়ে গেছেন। কিন্তু যারা বেঁচে রয়েছেন তাদের সার্বিক খোঁজখবর নিলাম। তাদের আর কি কি প্রয়োজন সেগুলো জানলাম। এছাড়াও অনেক শহীদ পরিবার বাবাকে হারানোর যন্ত্রনা নিয়ে আজোও বেঁচে আছে কিন্তু যথাযথ মর্যাদা পায়নি। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এই সব মানুষদের জন্য কিছু করার। আমরা শুধু দিবসের সময় এই জায়গা কিংবা এই মানুষদের স্মরন করি। এরপর কেউ তাদের আর খবর রাখে না। আমি এর ব্যতিক্রম কিছু করতে চাই। আমি এই উপজেলাতে সবেমাত্র যোগদান করেছি। তাই স্বাধীনতার ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ন অংশগুলোকে জানার চেস্টা করলাম। আমি দ্রুতই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নিদের্শনাকে অনুসরন করে বধ্যভ’মিকে সংরক্ষন ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এক কথায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা এই সব মানুষ ও শহীদ পরিবার এবং বধ্যভ’মির জন্য কিছু করে ঋণ শোধ করার চেস্টা করবো।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই