তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে পার্লার ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম

সখীপুরে করোনার থাবায় পার্লার ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সারা দেশের ন্যায় বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে  নেই আগের মত বিয়ের ধুমধাম আয়োজন। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গণজমায়েত করে জন্মদিন,বিবাহ বার্ষিকী বা অন্য  কোন পার্টিও হচ্ছে না । এতে করে  উপজেলায় গড়ে ওঠা  ছোটবড় ৩০টি পার্লার ব্যবসায়ী তাদের কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন।

দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে পার্লার খুললেও  নেই সাজবিলাসী নারীদের আনাগোনা। এক ঈদ কাটিয়ে আরেক ঈদ দরজায় কড়া নাড়লেও বেকার সময় কাটাচ্ছেন বিউটিশিয়ানরা। উপার্জন বন্ধ হয়ে পড়ায় স্বল্প পুঁজি নিয়ে নারী  সৌন্দর্যের পার্লার ব্যবসায় মনোনিবেশ করা নারী উদ্যোক্তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। মহামারীতে ব্যবসায় মন্দা হলেও খরচ কমেনি তাদের। বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের  বেতন ও ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে যথা নিয়মেই। এহেন অবস্থায়ও এ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ায়নি সরকারি-বেসরকারি  কোন সংস্থা। বাড়িয়ে  দেয়নি সহায়তার হাত। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানববেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  পেশা পরিবর্তনের।  দেশের চরম এই সংকটময় মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারী আর্থিক সহায়তাই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করেন ওইসব উদ্যোক্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সখীপুর  পৌর শহরসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে  গড়ে উঠেছে  ছোট বড় ৩০ টি বিউটি পার্লার।কেউ নিজস্ব আবার কেউ ভাড়া করা ঘরে খুলে বসেছেন নারী সৌন্দর্য ফুটিয়ে  তোলার এ প্রতিষ্ঠান। এনজিও কিংবা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তারা সাধ্যের মধ্যে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেদের এ ক্ষুদ্র ব্যবসাকে। দীর্ঘদিনের এ বৈশ্বিক মহামারি করোনা তাদের  সেই স্বপ্নকে  ভেঙে দিয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাব  ঠেকাতে সকল সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় লকডাউনে বন্ধ রাখা হয় পার্লারগুলোও। লকডাউন শেষে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করা হলেও আগের মতো গ্রাহক পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে  পার্লার কর্মীদের।

এ ব্যাপারে বিউটিশিয়ান পামেলা দ্রং ও বেলী নকড়েক, আকলিমা ও বৃষ্টি আক্তার একই সুরে বলেন, লকডাউনের কারণে পার্লার বন্ধ থাকায় তাদের অনেক  লোকসান হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে লকডাউন পরবর্তী পার্লার খুললেও  বিয়ে, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীসহ নানা আয়োজন কমে যাওয়ায় গ্রাহক শূণ্য হয়ে পড়েছে।

উপজেলার নলুয়া  দেওয়ান মার্কেটে গড়ে ওঠা ফ্যাশন এন্ড বিউটি পার্লারের মালিক রত্না আক্তার বায়লা  বলেন, কাস্টমার না আসলেও প্রতিদিন আগের নিয়মেই পার্লার খোলা রাখা হচ্ছে। কাজকর্ম নাই অথচ মাস শেষে ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন দিতেই হচ্ছে। সরকারীভাবে কোন সহায়তা না পেলে পার্লার ব্যবসা টিকিয়ে রাখাটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দেড় বছরেও সরকারী-বেসরকারী কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাননি বলেও তারা দাবি করেন।

পৌরসভার পাইলট বালিকা বিদ্যালয় মার্কেটের  ছোঁয়া বিউটি পার্লারের মালিক রওশন আরা রিতা বলেন, করোনার মধ্যে পার্লার কার্যক্রম চালু রাখার জন্য আমরা সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। পার্লার কর্মীদের জন্য পিপিই, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সকল ধরনের সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করে রেখেছি। সকল আয়োজন থাকা সত্ত্বেও পার্লারে ক্রেতা আসছেন না। যার ফলে পার্লার ব্যবসায়ীদের আয় উপার্যনের পথ  প্রায় বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে উপনিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সহায়তা পেলে পার্লার ব্যবসায়ীরা তাদের দূর্বিসহ জীবন যাপন থেকে  নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল পাবে  বলে মনে করেন এই বিউটিশিয়ান।

এ ব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)চিত্রা শিকারী  বলেন, সরকারি  কোন বরাদ্দ না থাকায় পার্লার ব্যবসায়ীদের জন্য  কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করতে পারা যাচ্ছে না। সুযোগ আসলে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই