তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গৌরীপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৪ মে]
ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।একের পর এক অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যে কারণে দিন দিন খোলা-মেলা অনিয়ম দূর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।

সরকারের বিনামূল্যে শতভাগ ভাতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর সেই তালিকা দেখে টাকা আদায়ের আবারও অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।  অনলাইনে আবেদন করে বয়ষ্ক ও বিধবা ভাতার তালিকাভুক্তির পর সেই তালিকা দেখে দেখে ১হাজার করে টাকা আদায় করছেন রামগোপালপুর ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য ফেরদৌসি বেগম ও তার স্বামী মোনায়েম।

গত ২মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের সামছুদ্দিনের স্ত্রী মোছা: রহিমা খাতুন, নবী হোসেন মেয়ে আনোয়ারা খাতুন, মৃত কিতাব আলীর ছেলে মো: ইজ্জত আলী, মৃত নুর আলীর স্ত্রী লাল বানু সহ আরও অনেকেই। এর পূর্বে মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এন্টাস মিয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। তথ্য প্রমাণসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

অভিযোগে তারা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে গৌরীপুর উপজেলা শতভাগ ভাতার আওতায় অনলাইনের মাধ্যমে আমরা সবাই আবেদন করি। কিন্তুু কয়েক দিন আগে থেকে রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ফেরদৌসী বেগম ও তার স্বামী মোনায়েম আবেদনের সাথে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে প্রথমে এক হাজার টাকা দাবী করেন। পরে সদস্যের বাড়িতে যাওয়ার পর কার্ড প্রতি তিন হাজার টাকা দিতে হবে জানান। টাকা দিতে না পারলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দেয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কোন ক্ষমতা রাখেন না বলেও জানান ইউপি সদস্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে  ৩মে দুপুরে ইউপি সদস্য ফেরদৌসী বেগমের বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ। এসময় সাথে ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি। এ সময় ফেরদৌসি বেগমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ জানান- অভিযোগ পেয়ে ইউপি সদস্য ফেরদৌসি বেগমের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই