তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় হাইওয়ে পুলিশকে চাঁদা দিয়ে না খেয়ে রোজা

ভালুকায় হাইওয়ে পুলিশকে চাঁদা দিয়ে না খেয়ে রোজা রাখলেন রিক্সাওয়ালা
[ভালুকা ডট কম : ০৬ মে]
ভালুকায় ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ অসহায় দরিদ্র শামীম নামে এক রোজাদার রিক্সাওয়াল কাছ থেকে ৭০০টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ফুড ওয়ভার ব্রীজে পাশে ইউটার্ণে।

এ ঘটনায় ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত ফাইসবুক আইডিতে বুধবার (৫ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। স্ট্যাটাজে তিনি লিখেন রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকা দাড়িয়ে ছিলেন । এ সময় পাশবর্তী উপজেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান পন্ডিতবাড়ি গ্রামের মৃত মহর আলী ছেলে রিক্সাচালক শামীম অটোরিক্সা নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। লোকটি এসে চেয়ারম্যানকে বললো কোথায় যাবেন? চেয়ারম্যান বললেন, না এখানেই, চেয়ারম্যান যে ভালুকা যাবে তা বলেনি।

তখন চেয়ারম্যান ওই অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞেস করল, এত রাতে যাত্রী কি পাওয়া যায়? লোকটি বললো রোজা থেকে সারাদিন রিকশা চালাতে পারি না। তাই রাতেই যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই আর অটোরিকশার কিস্তি দিতে হয়। তবে স্যার কি করবো গত মঙ্গলবার রাতে ৬শ টাকা ইনকাম হয়েছিল। কয়েক জন পুলিশকে থানার সামনে নামিয়ে দিয়ে যখন আমি ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ইউটার্ণ নেই ঠিক সে সময় হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আমাকে থামায় আর বলে আমার অটোরিক্সাটি তারা নিয়ে যাবে। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশ বলে এক হাজার টাকা দাবী করে।

এরপর অটোরিকশার চালক শামীম অনেক কাকুতি মিনতি করে হাইওয়ে পুলিশকে বলে স্যার আমি সারাদিন রোজা থেকে কাজ করতে পারি না। তাই ইফতারের পর থেকে ৬শ টাকা পেয়েছি। টাকা দিয়ে চাল ও ঢাল কিনবো, কিন্তু কোন কথায় শুনলো না। শেষ পর্যন্ত আমার কাছে আগের ১শ টাকা ছিল আর ইনকামের ৬শ টাকাসহ মোট ৭শ টাকা হাইওয়ে পুলিশকে দিয়ে অটোরিক্সাটি নিয়ে খালি হাতে বাসায় যাই। এবং না খেয়ে রোজা রেখে আজকেও আবার পেটের দায়ে এত রাতে আছি স্যার। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের প্রশ্ন হল আমরা কোথায় বসবাস করি?

ফেইবুক স্ট্যাটাজের মন্তব্য কলামে হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি কারণে রিক্সা,অটোভ্যান,হাইওয়ে মিনি,প্রাইভেটকার,মাইক্রেবাস চালকরা হয়ারানীর শিকার হচ্ছে।ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান জানান,ঘটনা রাতে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিউটি ছিল এপিএসআই আবু তাহেরের। আমি বলে দিয়েছি তার যেন কোনো রিক্সা ওয়ালাকে যেন টাকা জন্য হয়রানী না করেন। তারপরও যদি কেউ যদি এ জাতীয় ঘটনা করে থাকে তাহলে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই