তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর বিনোদন স্পটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

নওগাঁর উন্মুক্ত বিনোদন স্পটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি,নেই প্রশাসনের নজরদারী
[ভালুকা ডট কম : ১৭ মে]
চলছে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ। যার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা দেশসহ নওগাঁর বিনোদন কেন্দ্রগুলো আর উন্মুক্ত রয়েছে ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ, জাতীয় উদ্যান আলতাদীঘি, ভিমের পান্ট্রি, দীবরদীঘি, আত্রাই নদীর উপর নবনির্মিত সেতুসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থাপনাগুলো। যার কারণে ঈদকে ঘিরে প্রতিদিনই এই সব স্থানে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এসে ভীড় করছেন।

ঈদের পর থেকে একটু বিনোদনের আশায় ঘরবন্দি মানুষগুলো পরিবারসহ এই স্থানগুলো ভীড় করছেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অবশ্যই পালনীয় মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থবিধি মানার কোন বালাই নেই। সবাই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই খোলামেলা ভাবে হরহামেশাই আড্ডা জমিয়ে তুলছে। এছাড়াও এই সব স্থানগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের বিন্দুমাত্র নজরদারী না থাকার কারণে এই রকম জনসমাগমের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এতে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে সব মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এলাকায় এসেছেন তাদের মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে সংক্রমনের সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের আত্রাই নদীর উপর নবনির্মিত “আত্রাই সেতু” চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দর্শনার্থীরা তাই বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এই সেতুটিকে বেছে নিয়েছেন। ঈদের দিন থেকে শুরু করে প্রতিদিন বিকেলে এই সেতুতে হাজার মানুষের ঢল নামছে। সেতুতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীদের মুখে নেই মাস্ক। কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব।

আত্রাই বেইলি ব্রিজের পশ্চিম দিকে আত্রাই নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে দৃশ্যমান সেতু। উদ্বোধন করা না হলেও ঈদের কয়েক দিন আগেই জনদুর্ভোগ লাঘবে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এ সেতু। সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন বিনোদন প্রেমীদের পদচারণা মুখোরিত হয়ে উঠে এ সেতু। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখোরিত থাকছে সেতু। করোনার কোন ভয় নাই, করোনাকে যেন জয় করেই তারা এ বিনোদন স্পটে ভীড় জমাচ্ছেন। নতুন বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে উঠে এ সেতু। এক পর্যায় তরুণ তরুণীদের ভীড় এড়াতে সেতুতে কিছু পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা জনসমুদ্রকে সমালাতে ভীমশিম খাচ্ছেন। এদিকে এ সেতু ছাড়াও আত্রাই রাবারড্রাম ও পতিসর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারি বাড়িতেও ছিল বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ভীড়।

আত্রাই সেতুতে ঘুরতে আসা সুজন জহুরুল বলেন, ঈদের ছুটিকে নিজেদের মত করে কাটাতে ঘুরতে বের হয়েছি। যেহেতু বিনোদন কেন্দ্র মূলত পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে তাই আত্রাই সেতুকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছি। সেতুর উপর দিয়ে প্রবাহিত ঠান্ডা বাতাস ও হালকা খাবার আমাদের দারুণ প্রিয়। কর্মজীবনে অন্য সময় ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।

আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন জনসমাগম সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিকেল করে সেতুতে কিছু পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। যদি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তাহলে হয়তো বা অনেকেই মাস্ক পড়ে এখানে আসতো এবং স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই মানতে চেষ্টা করতো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই