তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে লিচুর গাড়ী আটকিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে লিচুর গাড়ী আটকিয়ে খাজনার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২২ মে]
গাজীপুরের শ্রীপুরে লিচু বহনকারী পরিবহন থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় লিচু পরিবহনের সময় প্রতিটি পরিবহন থেকে বাজার খাজনার নামে এসব টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে বেপারীরা এলাকায় এসে বাগান কেনা থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। অন্যদিকে, ক্ষতি পোষাতে বাজারে লিচুর দাম বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হতে হচ্ছেন বেপারীরা। গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় লিচু আবাদ হয় ১ হাজার ৪’শ ৪৬ হেক্টর জমিতে। সিংহভাগ লিচু চাষ হয় শ্রীপুর উপজেলায়। এ উপজেলার লিচু আবাদের পরিমাণ ৭’শ ২৭ হেক্টর জমি।

এবার ঈদের আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঈদের পর তা পুরোদমে চলছে। বাগানে বাগানে গাছ থেকে লিচু নামানো ও প্রক্রিয়া করে রপ্তানী করা হচ্ছে। কিন্তু বাগানের লিচু জেলার বাইরে রপ্তানী হলেও স্থানীয় কয়েকটি বাজারের ইজারাদারেরা খাজনার নামে লিচু বহনকারী গাড়ী থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা রাখছেন। আর এ কারণে অনেক লিচু বেপারী ভবিষ্যতে এলাকার লিচু কেনা থেকে বিরত থাকার ক্ষোভ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বেপারী না আসলে লিচুর সঠিক মুল্য না পাওয়ার কথা জানান বাগান মালিকেরা।

শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী, শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়াসহ বিভিন্ন লিচু বাগানগুলোতে এখন বেপারীদের ব্যাপক আনাগোণা। রাতে বাগান পাহাড়া আর সারাদিন গাছ থেকে লিচু নামিয়ে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার নানা প্রক্রিয়ায় বেপারীদের দিন কাটে।

বেপারী হাশিম উদ্দিন জানান, লিচুর মৌসুমে কমপক্ষে ২০ দিন তারা বিভিন্ন বাগানে অবস্থান করেন। ছোট অথবা মাঝারি আকারের ৫টি গাছ থেকে লিচু নামিয়ে আঁটি বাঁধা ও গাড়ীতে উঠাতে কমপক্ষে ১০ জনের জনবল প্রয়োজন হয়। ৪’শ টাকা দৈনিক পারিশ্রমিকে এসব জনবল খাটানো হয়। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক লাখ লিচু গাজীপুরের বাইরে নেওয়া হয়। এতে মিনি ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ কমপক্ষে অর্ধশত যানবাহন ব্যবহৃত হয়।

বেপারীরা জানান, প্রতিটি যানবাহন থেকে কমপক্ষে ২’শ ও সর্বোচ্চ ৫’শ টাকা খাজনার নামে টাকা দিতে হয়। বাজার ইজারাদারদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বাজারের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে বাগান থেকে আসা লিচু বহনকারী পরিবহন আটকিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। আবার কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় বাজারের ইজারাদারের লোকজন বাগানে গিয়ে বেপারীদের কাছ থেকে ইজারার টাকা গ্রহণ করেন। বেপারীরা দাবী করেন, স্থানীয় বাজারে লিচু কেনা বেচা না করলেও তাদেরকে বাজার খাজনার নামে টাকা দিতে হচ্ছে। আবার যেখানে নিয়ে বিক্রি করছেন সেই বাজারেও খাজনার টাকা দিতে হচ্ছে। এতে তাদেরকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে এলাকায় বাগান কেনা থেকে পরবর্তী সময়ে বিরত থাকা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

স্থানীয় লিচু বাগান মালিকেরা জানান, জেলার বাইরে থেকে এলাকায় বেপারী না আসলে লিচুর প্রকৃত মুল্য পাওয়া যাবে না। আবার সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ লিচু বিক্রি হবে না। বাগানের লিচু বাগানেই পঁচে গলে নষ্ট হবে।

এসব বিষয়ে কেওয়া বাজারের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম ভাঙ্গী সাংবাদিকদের জানান, শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তারা ইজারা আদায় করছেন। তবে জবাবে শ্রীপুর পৌরসভার সচিব দলিল উদ্দিন সরকার বলেন, বাজারে লিচু কেনাবেচা না হলে গাড়ী থামিয়ে ইজারার নামে টাকা নেওয়ার কোনোরকম বৈধতা নেই। পৌরসভা এমন কোনো অনুমতি কাউকে দেয়নি বা দেওয়ার আইনগত সুযোগও নেই।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাজারে পণ্য কেনাবেচা না হলে গাড়ী থামিয়ে ইজারার নামে টাকা নেওয়া বেআইনী। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই