তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রোজিনা জেলে কেন, রাজপথে সাংবাদিক সমাজ

রোজিনা জেলে কেন, রাজপথে সাংবাদিক সমাজ
[ভালুকা ডট কম : ২২ মে]
দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো’র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজ যখন দেশব্যাপী প্রতিবাদে সোচ্চার তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসবের পেছনে বিএনপি’র ইন্ধন খুঁজে পেয়েছেন।

শনিবার (২২ মে) নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল বলেন,মুক্ত গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে থাকা সাংবাদিকরাই এখন বন্ধু সেজে সরকারবিরোধী উসকানি দিচ্ছে।  জনগণ বিএনপি নামক বর্ণচোরা দলটিকে ভালো করে চেনে। তাদের কোনো অপকর্ম সফল হবে না।

এদিকে, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কারাবন্দি রোজিনা ইসলাম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন  নারী সাংবাদিকরা। রোজিনা ইসলামের জামিনে মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং গণমাধ্যমবিরোধী কালাকানুন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে ক্ষুব্ধ নারী সাংবাদিকরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের সময় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে প্রথম আলো পরিবারের সদস্যরা সংহতি জানান। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

নারী সাংবাদিকরা বলেন,সচিবালয়ে অবরুদ্ধ ঘরে রোজিনা ইসলাম ছিলেন একা,আর তাঁর চারপাশে ছিল প্রশাসনের অনেক লোক। রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন করার ঘটনা রাষ্ট্রীয় আইনবিরোধী। আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে রোজিনা ইসলামের জামিন পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।

ডিআরইউর বর্তমান নারীবিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার বলেন,রোজিনার শুধু জামিন নয়, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির পর আমরা বাড়ি ফিরব। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে বলছি, রোজিনা ইসলামকে আর একদিনও কারাগারে দেখতে চাই না। যারা দুর্নীতি করছে,অপরাধী তারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

প্রতীকী অনশন কর্মসূচিত  অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন,অনেকগুলো আইন সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করেছে। সাংবাদিকেরা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়গুলো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য কালো আইনগুলো তুলে নেওয়া এবং প্রত্যাহার করা হোক। রোজিনার মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি এ কালো আইন বাতিলের দাবিতেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা ।

প্রথম আলো পরিবারের পক্ষে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিক সমাজ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে,সে-জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের সঙ্গে প্রতিটি ঘটনায় প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতা নাসিমুন আরা হক,ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রুমানা জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সদস্য কাজী সুফিয়া আখতার প্রমুখ সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই