তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ

দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ
[ভালুকা ডট কম : ২৭ মে]
দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। সেখান থেকে সংক্রমণ যাতে দ্রুতগতিতে ঢাকাসহ সারা দেশে না ছড়ায় সে জন্য স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বাড়ানো,কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকাগুলোতে সরকারিভাবে ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষকে ঘরে রাখার ব্যবস্থা ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন,  বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন।  রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়া জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮২ জন মারা গেছেন রাজশাহীতে।

সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। এদিকে চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছে সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট। সতর্কতার মুখে কোনো কোনো জেলার সঙ্গে আন্ত জেলার যাতায়াতে নেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্বের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসবেই—সেটা প্রায় নিশ্চিত। এখন কথা হচ্ছে, আমরা কতটা দায়িত্বশীলভাবে সেটা মোকাবেলা করতে পারব। যদি না পারি তবে আগের চেয়েও বড় বিপর্যয় দেখতে হতে পারে। সরকারের পরিকল্পনায় এ বিষয়গুলো রাখা দরকার। তিনি বলেন,ঈদের সময়কার পরিস্থিতির প্রভাবে আগামী সপ্তাহ নাগাদ সংক্রমণ বাড়বে। এখনই কিছুটা বেড়েছে। তবে আগের মতো অতি দ্রুতগতিতে দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠবে কি না সেটা জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরো বাড়ানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ওই এলাকার সব মানুষের করোনা টেস্ট নিশ্চিত করা,কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের ওপর। এলাকার হতদরিদ্র মানুষ যাতে ঘরে থাকতে পারে সে জন্য স্থানীয় কমিউনিটিকে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারের জায়গা থেকেও যতটা সম্ভব সহায়তার চেষ্টা করতে হবে।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা  বলছেন, করনা সহসাই  দূর হচ্ছে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি  মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণের ব্যাপারে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি বিবেচনায় চীনের সিনোফার্মের তৈরি দেড় কোটি ডোজ সার্স কোভ-২ টিকা সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী জুন,জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাসে  মোট ১৫ মিলিয়ন বা এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই