তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে মাওনা-ধনুয়া সড়কের দুর্ভোগ চরমে

শ্রীপুরে মাওনা-ধনুয়া সড়কের দুর্ভোগ চরমে
[ভালুকা ডট কম : ২০ জুন]
গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এমসি বাজারের পাশে সুফিয়া কটন মিলস থেকে পশ্চিমে মাওনা- ধনুয়া সড়ক। মাওনা-ধনুয়া সড়কের দুর্ভোগ চরমে,ভোগান্তিতে এলাকাবাসিসহ হাজারো শ্রমিক। সড়কের দৈর্ঘ্য ৮০০মিটার। গুরুত্ববিবেচনায় এই সড়কটি এইচবিবির দ্বারা উন্নয়ণ করা হয় বিগত ১৯৯৮সালে। পরে ২০১৮সালে অধিকতর উন্নয়নের জন্য সড়কটি খুড়ে ফেলে ইট তুলে নেয়া হয়। এর পরই রহস্যজনক কারনে উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আর এতেই দুর্ভোগে পড়েছে এই সড়কটির উপর নির্ভর করে আশপাশে গড়ে উঠা ৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিশ হাজার শ্রমিক সহ দুটি গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয়রা উপজেলা প্রকৌশল অফিসসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধর্ণা দিলেও তারা বরাদ্ধ না পাওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।

স্থানীয়রা জানান,স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা শিল্পকারখানার জন্য এ সড়কটি অধিক গুরুত্ববহন করে আসছে। এ সড়কটি ব্যবহার করে নোমান গ্রুপের জাবরা টেক্সটাইল, ইসমাইল টেক্সটাইল,সুফিয়া কটন মিলস, নাইস ফেব্রিক্স, সাদ গ্রুপের কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান, তামিসনা ফ্যাশন ওয়্যার সহ আরো কয়েকটি শিল্প কারখানার বিশ হাজার শ্রমিক সহ মাওনা ও মুলাইদ গ্রামের বহু মানুষ চলাচল করে থাকেন।

২০১৮সালের দিকে পিচ দ্বারা উন্নয়নের কথা বলে এ সড়কটি খুড়ে ফেলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস। পরে আর উন্নয়নের দেখা মেলেনি। এদিকে খুড়ে রাখা সড়কে স্থানীয়দের উদ্যোগে ইটা, সুড়কি ফেলে গর্ত ভরাট করে এতোদিন কোনমতে চলাচল করে আসলেও বর্ষায় বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। এখন তো যানবাহন চলেই না ,হেঁটে চলাও যায় না। মাত্র ৮০০মিটার এই সড়কের বেহাল দশায় শিল্পকারখানা গুলোর উৎপাদন অব্যাহত রাখতে মাওনা বাজার হয়ে অতিরিক্ত আরো ৮কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে। এদিকে সড়কটির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে স্থানীয়রা বারবার আবেদন করলেও সড়কটির উন্নয়নে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের ফখরুল ইসলাম বলেন, এ সড়কটির যেন কোন অভিভাবক নেই। হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ হলেও দায়িত্বশীলরা কেউই এর গুরুত্ব বুঝতে রাজি নন। যার যার ইচ্ছেমতো সড়ক খুড়ছেন, সড়কের ক্ষতি করেই যাচ্ছেন। তবে সড়ক মেরামতে নজর নেই কারোই।

তামিশনা ফ্যাশন ওয়ার ইউনিট-২ এর ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, তার কারখানায় প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। এই সড়কটির উপর নির্ভর করেই কারখানাটি গড়ে উঠেছিল। বর্ষা শুরু হওয়ার এই সড়কের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেহাল সড়কের কারনে পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। মহাসড়কে গাড়ী রেখে প্রায় ৫শত মিটার এলাকায় মাথায় করে পন্য আনতে হচ্ছে। আমাদের কারখানার অন্যতম সমস্যা এখন এই সড়ককে ঘিরেই।

স্থানীয় মেম্বারবাড়ী মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন,বর্ষার পূর্বেও এ সড়কটি দিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করতো। এর আগে স্থানীয় একটি কারখানা সড়কের মধ্যে পাইপ লাইন স্থাপন করেছে মূলত এর পর থেকেই বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। এখনতো হেঁটে চলাও যায় না।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল আহসান বলেন, দুই মাস হলো তিনি এ উপজেলায় যোগদান করেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই ইতিমধ্যেই এ সড়কটি পরিমাপ করে এনেছেন। এখন সড়ক উন্নয়নে বরাদ্ধ নেই। বরাদ্ধ পাওয়া সাপেক্ষে উন্নয়ন করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই