তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারকে একঘরে

সখীপুরে জমি দখলের চেষ্টার বাধা দেওয়ায় সংখ্যালঘু এক পরিবারকে একঘরে
[ভালুকা ডট কম : ২৫ জুন]
জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েসহ সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়চওনা বাজার এলাকায় আপন চাচাদের রোষানলে পড়ে অসুস্থ্য বাবাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে মল্লিকা কর্মকার নুপুর তার পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত প্রাণ কৃষ্ণ  কর্মকার ও  গোপাল কর্মকারের  বিচার দাবি করেও প্রতিকার পাননি অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। তারা বলছেন,  গত এক সপ্তাহ ধরে অন্যায়ভাবে তাদের সমাজবাসীদের সাথে মেলামেশা ,যাতায়াত, চলাফেরা এবং বাড়ি থেকে বেড় হতে বাধা দিয়ে এক ঘরে করে রেখেছেন তাদের।

জানা যায়, ওই এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্রের তিন ছেলে নির্মল চন্দ্র কর্মকার এর সাথে অপর দুই ভাই প্রাণ কৃষ্ণ ও  গোপাল কর্মকারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে র্বিরোধ চলে আসছে। গত ১৮ জুন শুক্রবার সকালে বড়চওনা  মৌজার ৪৫ দাগের ওই জমিতে প্রাণ চন্দ্র ও গোপাল চন্দ্র  জোর করে ঘর তুলতে যায়। এতে বাধা দিতে  গেলে নির্মল চন্দ্রকে হুমকি ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে নুপুরকে শারিরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ওই ভিডিও সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

ভূক্তভোগী নির্মল চন্দ্রের মেয়ে মল্লিকা কর্মকার নুপুর বলেন, বাবা অসুস্থ। এ সুযোগে চাচারা আমাদের ভাগের জমি বুঝিয়ে না দিয়েই  জোর করে দখলে  নেওয়ার  চেষ্টা করছেন। আমাদের নিজস্ব জমিতে ঘর তুলতে  গেলেও ওরা বাধা দিচ্ছেন।এতে আমি বাধা দিলে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে আমাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করেন। এতেও তাদের স্বাধ মিটেনি তারা সামাজিকভাবে গত এক সপ্তাহধরে আমাদেরকে একঘরে করে  রেখেছেন অসুস্থ্য বাবাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। বাড়ির গেইট পর্যন্ত বেড় হলেই ওনারা আমাদের ওপর হামলা চালান। বাবার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন জমি বিক্রি করতে চাইলে তারা বাধা দিচ্ছেন। দিনদিনই বাবার অসুস্থ্যতা  বেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনসহ দেশবাসির কাছে এর সুষ্ঠবিচার দাবী করছেন ওই অসহায় পরিবার।

বড়চওনা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশীল চন্দ্র কোচ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভাই ভাইদের ব্যাপার বলে আমরা এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করিনি।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল ইসলাম হারেস বিএসসি বলেন, কাউকে একঘরে রাখা অমানবিক কাজ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সখীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একে সাইদুল হক ভূইয়া এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই