তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে দুই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সখীপুরে দুই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০১ জুলাই]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে হতেয়া রেঞ্জ কর্মকতা আলাল খান ও কালিদাস বিট কর্মকতা মোস্তানুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলার বোয়ালী গ্রামের মো. আ.মজিদ বিভাগীয় বনকর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হতেয়া রেঞ্জকর্মকর্তা আলাল খান এবং কালিদাস বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর চৌধুরী যোগদান করার পর থেকে তাদের আওতাধীন বনবিভাগের শাল গজারি গাছ রাতের আধারে কেটে কেটে পাচার চলছে। এছাড়া বনের জমি টাকার বিনিময়ে কালিদাস, বোয়ালীপূর্বপাড়া, শোলাপ্রতিমা, পানাউল্যাহপাড়া, কীর্ত্তণখোলা, ইছাদিঘী, কালিয়ানপাড়া, গজারিয়া, বহুরিয়া, খামারচালা, বৌ বাজার, হতেয়া এলাকার অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর, পোল্ট্রি ফার্ম ও দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।এসব স্থাপনা নির্মাণ করতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই দুই বন কর্মকর্তা। চাহিদা মাফিক টাকা দিলে ঘর তুলতে দেওয়া হয়। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। আবার টাকা নিয়েও কখনো কখনো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলে বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরো টাকা হাতিয়ে নেন।

ওই অভিযোগে আরো বলা হয় তাদের এ টাকা লেনদেনে সহায়তা করেন কালিদাস পানাউল্লাহ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কবির নামের এক ব্যাক্তি। যিনি নিজেও ওই বনকর্মাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বনের তিন একর জমির শাল গজারি গাছ কেটে দখল করে নিয়েছেন। কেউ বনের জমিতে কিছু করতে চাইলেই ওই দুই কর্মকর্তা কবিরের সঙে যোগাযোগ করতে বলেন। আর কবির হোসেনের হাত ছাড়া কেউ ঘর তুলতে পারে না। ওই দুই কর্মকর্তা তার কথায়ই উঠেবসে এলাকায় তিনি বনবিভাগের দালাল নামেই পরিচিত।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ওই দুই কর্মকতার এলাকা পরিদর্শনে গেলে অভিযোগে উল্লেখ বনের জমি দখল করে ১৪জনের বসতবাড়ি ছাড়াও প্রায় অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি চোখে পড়ে। বনের গাছ কেটে প্রতিটি স্থাপনা  বাবদ ওই দুই কর্মকর্তাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে ।

বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (টাঙ্গাইল) ড.জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামাল উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাল খান বলেন, এ স্থাপনাগুলা আমার আমলে হয়নি। অভিযোগের সত্যতা মিললে উধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে আমি তা মেনে নেব।কালিদাস বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। কবির দালাল বনবিভাগের নামে টাকা নিয়ে থাকলে বিষয়টি একান্ত তার। তার সাথে কোন সখ্যতা নেই বলেও তিনি জানান।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই