তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ঘষামাজা নিয়ে ব্যস্ত উপজেলা প্রশাসন
ভালুকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১১ জুলাই]
‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভালুকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত জানুয়ারি এবং জুন মাসে দুই ধাপে ২৭৯টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরইমধ্যে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণের কারণে বেশ কয়েকটি ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাঁটল দেখা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কোনো কোনো এলাকায় উদ্বোধনের এক মাসের মাথায় ফাটল দেখা দেয়ায় ঘষামাজা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘরের মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সরকারি খাস জমির উপর তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে আছে দুইটি কামরা, রান্নাঘর, বারান্দা এবং টয়লেট। এছাড়া ১০টি ঘরের জন্য একটি করে গভীর নলকুপ। সেমিপাকা এই ঘরগুলোর প্রতিটি তৈরি করতে প্রথম পর্যায়ে খরচ হয়েছে এক  লাখ ৭১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে খরচ হয়েছে, এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতিটি পরিবারের কাছে দুই শতাংশ জমির মালিকানা দলিলসহ ঘরগুলো দু’টি ধাপে হস্তান্তর করা হয়। এরইমধ্যে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণের কারণে বেশ কয়েকটি ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাঁটল দেখা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কোনো কোনো এলাকায় উদ্বোধনের এক মাসের মাথায় ফাটল দেখা দেয়ায় ঘষামাজা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের চাপরবাড়ি এলাকায় ভালুকা-গাফরগাঁও সড়কের পাশে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর মালিক ফাতেমা খাতুন, শরীফা খাতুন ও আকলিমা খাতুনের ঘরের মেঝেতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। অপর ঘরের মালিক তাজুল ইসলাম বলেন, ঢালাই কাজে মাল (সিমেন্ট) কম দেয়ার কারণে ঘরের মেঝেতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, রাজমেস্ত্রী মেঝের ফাঁটল মেরামত করছেন। উপজেলার ভায়াবহ গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, একটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছিলো। পরে তা মেরামত করে দিয়ে গেছেন।

উপজেলার ধীতপুর বাজার সংলগ্ন নদীরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে ঘর মালিক রাজা মিয়া (৭০) জানান, আমার ঘরের জানালার পাশে ফাটল ও আস্তর খসে পড়েছিলো। পরে আবার মেরামত করে দিয়ে গেছে। একই প্রকল্পের অপর ঘর মালিক রহিমা খাতুন জানান, ঘরে ফাটল দেখা দেয়ার পর আবার মেরামত করে গেছে। কিন্তু ফাটল ঘরে থাকতে ভয় ভয় লাগে। পাশের টুংরাপাড়া প্রকল্পে গেলে দেখা যায়, একটি ঘরের বারান্দার সম্পূর্ণ মেঝ পূণরায় মেরামত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি জানান, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এই অবস্থা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইনউদ্দিন জানান, দুই একটি ঘরে সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। পরে তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে।আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন জানান, ভালুকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে কোন সমস্যা নেই। বাজেটের চাইতে বেশি টাকা খরচ করে ঘর নির্মাণ করেছি।#





    



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই