তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় হরিলুট হচ্ছে নদী খননের মাটি

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় হরিলুট হচ্ছে তুলশীগঙ্গা নদী খননের মাটি,ভরাট করা হচ্ছে প্রভাবশালীদের পুকুর
[ভালুকা ডট কম : ১৪ জুলাই]
নওগাঁয় তুলশীগঙ্গা নদী খননের মাটি কেটে ব্যক্তিগত পুকুর ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। যার কারণে নদীর পাড় নিচু হয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি বেশি হলে ‘ওভার ফ্লু’ হয়ে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই অনুমতি ছাড়াই এমন কাজ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার খিদিরপুর, পিরোজপুর ও সুলতানপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদী বয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সদর উপজেলার ত্রিমোহনীহাট রেগুলেটর থেকে তুলশীগঙ্গা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১০কিলোমিটার নদী কিছুদিন আগে খনন কাজ শেষ হয়। নদী খননের সময় মাটি নদীর দুই পাড়ে রাখা হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারীর অভাবে যে যার মতো করে মাটিগুলো কেটে সরিয়ে নিচ্ছে। ম্যানেজের মাধ্যমে অনেক মাটি ব্যবসায়ী রাতের আধারে মাটি ইটভাটায় দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী খিদিরপুর মুন্সিপাড়া গ্রামবাসীর সঙ্গে মাটি ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গত কয়েকদিন থেকে দুইটি স্ক্যাবিটর (ভেকু) ও ১০-১২টি ট্রাক্টর দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদীর চন্ডিপুর বোর্ড ব্রিজের পাশ থেকে নদীর পাড়ের মাটি কেটে পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদুর রহমান, সাজ্জাদ ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নদীর পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে এসে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। যাদের কাজ তারা যদি না দেখে আমরা কি করবো। নদীর পাড়ের মাটি যে যার মতো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার তুলনায় নদীর বাঁধ নিচু হয়ে গেছে। নদীতে পানি আসলে ওভার ফ্লু হয়ে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

পুকুর মালিক আব্দুল মতিন বলেন, তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরি করেন। নদী খননের সময় তাদের জায়গার ওপর নদীর মাটি রাখা হয়েছিল। এতে করে জমির সব আবাদ নষ্ট করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আবাদ করতে পারছি না। গত ৩-৪ দিন থেকে নদীর পাড়ের মাটি সরানোর কাজ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে যে যার মতো মাটি সরিয়ে নিতে। নদীর পাড়ের মাটিগুলো দিয়ে পাশেই নিজেদের পুকুর ভরাটের কাজ করছি।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন বলেন, কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে নিচু জায়গা, মসজিদ, মন্দির ও সেবামুলক কাজে ভরাট করা যাবে। তবে ব্যক্তিগত কোন জায়গায় এভাবে কেউ ভরাট করতে পারবেন না। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসের লোক পাঠিয়েছিলাম। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে আবারও লোক পাঠানো হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, জনকল্যাণমুলক এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হলে মাটি সরিয়ে নিতে পারবেন। তবে ব্যক্তিগত কাজে নদীর পাড়ের মাটি কেটে ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই