তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় ১৫০কোটি টাকার আউশ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

নওগাঁয় ১৫০কোটি টাকার আউশ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ আগস্ট]
উত্তরের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত জেলা নওগাঁ। এই জেলায় উৎপাদিত চালের সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে। ধান ও চাল উৎপাদনে জেলার শীর্ষ উপজেলা হচ্ছে মহাদেবপুর। আদিকাল থেকেই ধান নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য হিসেবে অর্থনীতিতে মূখ্য ভ’মিকা রেখে আসছে। এখানকার মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস ধান ও চাল।

দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ধান উৎপাদনকারী এ উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আউশের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬৫হাজার ৬০০মেট্টিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫০কোটি ৮৮লাখ টাকা। বর্তমানে শেষ মূহুর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আউশচাষীরা। ইতিমধ্যেই কৃষি বিভাগ জেলার রাণীনগর উপজেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আউশ ধান কর্তন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোন বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা ভড়ে উঠবে সোনালী ধানের হাসিতে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হবে। নতুন ধান উঠবে কৃষকের গোলায়। গৃরস্থ আর কৃষাণ-কৃষাণীরা গোলা, খলা ও আঙ্গিনা পরিষ্কার করায় ব্যস্ত। কৃষকরা বলছে, আউশ চাষ বৃষ্টিনির্ভর হওয়ায় সেচ খরচ লাগে না। সার-কীটনাশকও খুবই কম প্রয়োগ করতে হয়। ফলে তুলনামূলক খরচ কম, লাভ বেশি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খারিপ-১/ ২০২১-২০২২ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩০টি ব্লকে ১৩ হাজার ১২০হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এ পরিমান জমি থেকে ধান উৎপাদন হবে ৬৫হাজার ৬০০ মেট্টিকটন। আউশ চাষ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি বিভাগ প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ১হাজার ৫০০ জন কৃষকের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সরবরাহ করেছে। এছাড়া চষীদের উদ্বুদ্ধ করতে রাজস্ব অর্থায়নে ১৫টি প্রদর্শনীও স্থাপন করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলার সিদ্দিকপুর এলাকার কৃষক রহমত আলী, খাইরুল ইসলাম ও তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্ষেতে রোগ-বালাই ও পোকা মাকড়ের তেমন আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়নি। যার কারণে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হবে। এবারও অধিক ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা।

মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আউশ আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে। ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানি কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদ জনপ্রিয় করতে কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। কৃষকরা যাতে অল্প খরচে অধিক লাভবান হতে পারেন এবং কোন সমস্যায় না পড়েন এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। এবারও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই