তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে আমন ধান রক্ষায় আলোক ফাঁদ

নওগাঁর রাণীনগরে আমন ধান রক্ষায় চলছে পরিবেশ বান্ধব “আলোক ফাঁদ”,কমছে কীটনাশকের ব্যবহার
[ভালুকা ডট কম : ০৭ অক্টোবর]
নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানকে ক্ষতিকর বাদামী ঘাস ফড়িং পোকা, ব্লাস্ট রোগসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা ও রোগের হাত থেকে কৃষকের স্বপ্ন ধানকে রক্ষার্থে চলছে সচেতনতা মূলক নানা কর্মকান্ড। এরমধ্যে পরিবেশ বান্ধব “আলোক ফাঁদ” পদ্ধতি অন্যতম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমন ধানকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা ও রোগের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে আগে থেকেই কৃষকদের সচেতন করতে চলছে লিফলেট বিতরন ও উঠান বৈঠক। সন্ধ্যার পর কৃষকদের নিয়ে ধানের জমির আইলের পাশে আলোক ফাঁদ পেতে ধানে আক্রমণ করতে এমন ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত করে পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুসারে বালাইনাশক প্রয়োগ করা। আলোক ফাঁদের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই তাদের ধানের ক্ষেতে আক্রমণকারী ক্ষতিকর পোকা ও রোগকে চিহ্নিত করতে পারছেন এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত বালাইনাশক প্রয়োগ করে ধানকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেন। প্রতিদিনই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কোন না কোন গ্রামে গিয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ধানকে রক্ষা করার এই সব কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়ন করছেন।

জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে “আলোক ফাঁদ” পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন রাণীনগর উপজেলার কৃষকরা। উপজেলার ৮ইউনিয়নের ২৪টি ব্লকে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় কৃষকরা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করছেন। তাই বর্তমানে এই উপজেলার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পদ্ধতিটি।

উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মোতালেব বলেন কৃষি বিভাগের সহায়তায় কয়েকদিন পর পর আমি ধানের ক্ষেতের আইলে আলোক ফাঁদ পেতে ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি জানতে পারছি। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুসারে জমিতে প্রয়োজন মাফিক বালাইনাশক প্রয়োগ করছি। এতে করে ধানকে আমি ক্ষতিকর পোকার বড় ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮হাজার ৬শত ৫০হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আমরা কৃষকদের জমি প্রস্তুত করার সময় থেকে ধানের ক্ষতিকর পোকা যেমন বাদামী ঘাস ফড়িং ও বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন ব্লাস রোগসহ অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমরা প্রতিজন কৃষকের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়াও তো অন্যান্য কর্মকান্ডগুলো অব্যাহত রয়েছে। তাই বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দিলে চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই