তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় বাড়ছে আঙ্গিনা কৃষি

নজর কেড়েছে কামরুল এহছানের পারিবারিক কৃষি খামার
ভালুকায় বাড়ছে আঙ্গিনা কৃষি
[ভালুকা ডট কম : ০৭ নভেম্বর]
ভালুকা পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ীর সামনের আঙ্গিনায় ফেলে রাখা জমিতে সবজি চাষে ব্যাপক সারা পরেছে। বাড়ীর আঙ্গিনায় বিষমুক্ত বাজে কৃষির আবাদ করে সকলকে তাক লাগিয়েছেন ভালুকা পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাংবাদিক কামরুল এহছান চন্দন। ৬ নভেম্বর শনিবার সকালে তার বাসায় গিয়ে দেখা যায় তিনি ও তাঁর সহধর্মিনী সাবিহা সুলতানা লাকি সবজি ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন।

কাজের ফাঁকে কথা হয় পারিবারিক কৃষক দম্পত্তির সাথে। কামরুল জানান করোনার প্রথম দিকে দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারনে বেশীরভাগ সময় বাসায় থাকতে হয়। কোন কাজ না থাকায় স্বামী-স্ত্রীর পরিকল্পনায় বাড়ীর সামনে ১০ শতাংশ জমিতে সবজি ও ফল ফলাদির আবাদ শুরু করেন। ভালুকা ব্লকের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহাগের কাছ থেকে সবজি চাষে বিভিন্ন পদ্ধতিগত পরামর্শ নিয়ে চাষ করায় তারা ভাল ফলন পেয়েছেন।

এছারাও তিনি চালা কম্পোজড তৈরী করে কেচু সার তৈরী করেছেন যা সার হিসাবে নিজেদের সবজি ও ফল গাছে প্রয়োগ করে থাকেন। যে কারনে বাজারের সবজি ও ফল থেকে তাদের উৎপাদিত ফল ও সবজি স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু ও বিষমুক্ত। তাদের আবাদের মধ্যে রয়েছে দেশী বেগুন, মূলা, টমেটো, শসা, সীম, বরবটি, শীতলাউ, মিষ্টি লাউ,দুন্দুল, আদা, বিভিন্ন প্রকারের শাক। এছারা রয়েছে কলম পদ্ধতিতে একই গাছে ৫ প্রকারের আমের গাছ, মালটা, কমলা, কদবেল, আমরা, আতা, এলাচ,শরীফা, সফেদা, সীডলেস লেবু সহ বিভিন্ন ফলের গাছ। ভেষজের মধ্যে রয়েছে এলোবেরা,শতমূল, তুলসী ইত্যাদি। তিনি সেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষক ড. আঃ কাইয়ূমের দেয়া দক্ষিন কোরিয়ার তেল জাতীয় উদ্ভিদ পেরিলার চাষ করেছেন তার কৃষি বাগানে।

একপাশে বায়ূফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ যা সারা বছর নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়েও আত্মীয় স্বজনকে দিয়ে কুটুম্বিতা রক্ষা করে থাকেন থাকেন। কামরুল এহছান পেশায় কলেজে পরানোর পাশাপাশি দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার ভালুকা প্রতিনিধি হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছেন। কর্মস্থলে যাওয়ার পূর্বে প্রতিদিন ভোর ৬ টা হতে সকাল ৯ টা পর্যন্ত তিনি কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকেন। গৃহিনী সাবিহা সুলতানা সকল কাজে সাহায্য করে থাকেন। পারিবারিক সবজি চাষেই সীমাবদ্ধতা নয়। সাবিহা সুলতানা জানান তিনি দেশী মুরগী ও কবুতর পালন করে বেশ লাভবান। ১০ জোড়া কবুতর ও ১৫/২০ টির মত দেশী মুরগী রয়েছে যা থেকে নিজেরা খেয়ে প্রতিদিন ১০০ টাকার মত ডিম বিক্রি করতে পারেন। এছারা মুরগীর ডিম হতে বাচ্চাও ফুটানো হয়। কবুতরের বাচ্চা হতেও কিছু টাকা পাওয়া যায়। শাক সবজি নিজেরা চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের দিয়েও কিছু বিক্রি করা যায় যা থেকে সংসারের টুকি টাকি খরচ চলে। এক কথায় এটি তাদের পারিবারিক বিষমুক্ত কৃষি খামার।

তাদের রয়েছে এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে সাবিক হাছান দীপ আনন্দ মোহন বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজে ভূটানিতে অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। মেয়ে সওদা বিনকে হাছান শ্যামা কানাডায় বিবিএ পরাশুনা করছেন। কামরুল এহছান মনে করেন যাদের বাড়ীর সামনে মাত্র এক শতাংশ জমি পরে রয়েছে তারা সামান্য পরিশ্রম ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে সহজেই শাক সবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীকে দিয়েও অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে সামান্য অর্থ ঘরে আনতে পারেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই