তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নিরাপদ আবাসের দাবিতে প্রায় তিন বছর

নিরাপদ আবাসের দাবিতে প্রায় তিন বছর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে মখলেসার রহমান
[ভালুকা ডট কম : ১৪ নভেম্বর]
বিষাক্ত পরিবেশ মুক্ত ও নিরাপদ আবাসে বসবাসের দাবি নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে চলেছেন সবজি ব্যবসায়ী মখলেসার রহমান। একটি অবৈধ চালকল বন্ধ ও চাতাল সরিয়ে নেওয়ার আবেদন নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বছরের পর বছর ঘুরে কোন প্রতিকার পাননি মখলেসার।

মখলেসারের বাড়ি নওগাঁর পার্শ্ববর্তি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বশিপুর গ্রামের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে। পরিবেশ অধিদপ্তর চালকলসহ চাতালের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়ার পরও সরকারি আদেশ অমান্য করে চালকল মালিক আব্দুল হামিদ চালকলটি চালু রেখেছেন ।

মখলেসারের অভিযোগে জানা গেছে, সান্তাহার শহরের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে তার বাড়ি ঘেঁষে পৌওতা গ্রামের চাল ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ অবৈধ ভাবে চালকলসহ চাতাল নির্মান করেন। চালকলের বিকট শব্দ ও চাতালের বয়লারের ধূয়ায় ওই এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এটি শহরের আবাসিক এলাকায় হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ২০টি পরিবার ভয়াবহ পরিবেশে দূষনের শিকার হচ্ছে। চালকলটি বন্ধের জন্য মখলেসার রহমান গত ১৮.১১.১৯ তারিখে বগুড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। তদন্তের সময় চালকল মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে বিভাগীয় পরিচালক আশরাফুজ্জামান চালকল মালিক আব্দুল হামিদকে দেয়া এক পত্রে সাত দিনের মধ্যে চালকল ও চাতালের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ সম্মত জায়গায় স্থানান্তর করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরিচালকের নির্দেশ অমান্য করে চালকল মালিক অবৈধভাবে চালকলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে বিষয়টি আবারো বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পরিবশে অধিদপ্তরকে অবহিত করেন মখলেসার রহমান। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৬জানুয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজা আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চালকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করে চিঠি পাঠান।

মখলেসার রহমান বলেন, পর পর তিনজন ইউএনও’র কাছে গত ১৭.০১.২১,২৩.০৫.২১ ও ২৬.০৮.২১ তারিখে এ বিষয়ে তিনবার আবেদন করেন কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। তারা জেলা প্রশাসকের নির্দেশকেও তোয়াক্কা করেননি। ন্যায্য বিষয় নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পেলাম না। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক  নিজে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করলেও ইউএনও’র কার্যালয় থেকে দুই দফায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে দিয়ে আবারো তদন্ত করানো হয়। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে চালকলটি অবৈধ উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হলেও কোন ইউএনও চালকল বন্ধ বা মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি ।

মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে চালকল মালিকের ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেন, চালকলের বেশির ভাগ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত পরিবশে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পুরো চালকলের কার্যক্রম চালু করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, এ বিষয়ে মখলেসার রহমানকে আদালতের শরানপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই