তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় সোনালী ধানে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা

ভালুকায় সোনালী ধানে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা
[ভালুকা ডট কম : ১৬ নভেম্বর]
ঘাসের উপর রুপালী শিশির কুয়াশার চাদর ছড়ানো মাঠে মাঠে ধানের গোছায় কাস্তে চালনায় মত্ত কৃষকের দল।ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আমন ধান কাটায় মাঠ জুরে কৃষকের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। বাড়ীর উঠানে জমতে শুরু করেছে সোনালী ধানের আঁটির পাহাড়। মাঠে মাঠে চলছে দলবদ্ধ শ্রমিকদের দিনভর পাকা ধান কেটে আঁটি বাঁধা আর দিনশেষে গৃহস্থের উঠানে পৌছে দেওয়া। অপর দিকে গৃহস্থ বাড়ীর বউঝি’রা উঠান তৈরী, ধান সিদ্ধর চুলা ও মাচা তৈরী করতে বিরামহীন কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে নতুন ফসল ঘরে তুলে গোলা ভরার রঙ্গীন সপ্নের চঞ্চলতা। গৃহস্থ বাড়ীতে কাজের সহযোগী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন গ্রামের মহিলা শ্রমিকরা।

আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ হয়। গত কয়েক বছর যাবৎ অধিক ফলনসীল উন্নত জাতের ধানের আবাদ করে দাম ভাল পাওয়ায় কৃষক পরিবারে আনন্দের সীমা নেই। আগাম ব্রী-ধান ৭০ কয়েকদিন পূর্ব হতেই কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ব্রী-ধান ৫১ সহ অন্যান্য জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মামারিশপুর গ্রামে শহীদ মিয়ার আমন ধান কাটছিলেন শ্রমিকরা। কৃষক শহীদ মিয়া জানান শ্রমিকদের ৫০০ টাকা রোজ হিসেবে ধান কাটাচ্ছেন। এবার ধানের ফলন ভাল হয়েছে দামও ভাল পেয়ে তিনি খুশি। এছারা সোনলী বরণ ব্রি ধান ৩৪ সুগন্ধি চিনিগুড়ি, স্থানীয়জাত কালিজিরা, গুডি শাইল, আমন শাইল ইত্যাদি সুগন্ধি ধানের চিকন চালে বাঙ্গালীদের ঈদ পার্বন আচার অনুষ্ঠানে আদি কাল হতে রিচফুড পোলাও,ফিন্নি, ক্ষীর পায়েশ ইত্যাদি মুখরোচক খাবার তৈরী হয়। যে জন্য এসব সুগন্ধি চালের চাহিদা রয়েছে ব্যপক। তিনি জানান উফসী ও স্থানীয় জাত ধানের বাজার মুল্য বর্তমানে ১০০০ টাকা মণ দরে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে সুগন্ধি ধান চিনিগুড়ি প্রতিমণ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমণ আবাদে রোগবালাই তেমন ছিলনা, বৃষ্টি হয়েছে উপযুক্ত সময়ে যে কারনে আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকদের মজরী ৫০০ টাকা রোজ হওয়ায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

ভালুকা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ ইউনিয়নেই কমবেশী আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ভালুকা, মল্লিকবাড়ী, বিরোনিয়া, মেদুয়ারী, রাজৈ, উথুরা, কাচিনা, ডাকাতিয়া ও হবিরবাড়ী ইউনিয়নের  জমি উঁচু ও সমান্তরাল হওয়ায় এসব এলাকায় আমন আবাদ বেশী হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগ বালাই তেমন হয়নি যে কারনে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৯৫ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্ট৪ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই