তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে বেঁচে যাওয়া জান্নাত

ট্রেনের নিচে ঝাঁপদিয়ে মায়ের আত্নাহুতি
শ্রীপুরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে বেঁচে যাওয়া জান্নাত
[ভালুকা ডট কম : ১৯ নভেম্বর]
বুক ভরা কষ্ট নিয়ে এক সাথে মেয়েকে নিয়ে আন্তাহুতি দিতে চেয়েছিলো নাদিরা বেগম। মেয়ে জাকিয়া জান্নাতকে(২) কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপদেন তিনি। টুকরো টুকরো হয়ে মারাযান নাদিরা। মৃত্যুর খুব কাছথেকে অলৌকিক ভাবে বেঁচেযায় কোলে থাকা জাকিয়া জান্নাত। ট্রেনের নিচে পরে গুরুত্বর আহত জান্নাতের বাম হাত থেতলেযায়। বর্তমানে সে  শেখহাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে’র ১০ম তলার ১হাজার ৭নস্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন অছে।  জাকিয়া জান্নাত নেত্রকোনা জেলার দর্গাপুর থানার বরবাট্রা গ্রামের জুয়েল রানার মেয়ে। সে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকায় ভাড়া করা বাসায় বাবা-মা’র সাথে থাকতো। 

জান্নাতের দাদা তহিমুদ্দিন জানান, ট্রেনের নিচে ঝাঁপদিয়ে পুত্রবধু নাদিরা মারা যায়। গুরুত্বর আহত হয় কোলে থাকা জান্নাত। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাপাতালে নিয়ে যায়।  অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় জরুরী বিভাগের ডা.মাহমুদা খাতুন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

জান্নাতের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন শ্রীপুরের আসাদুজ্জামান দিপু । তার সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  প্রথম এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় অপারেশন হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।  চিকিৎসকগন জাকিয়ার ক্ষতবিক্ষত হাতটি রক্ষায় স্বচেষ্ট হন। নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয় তাকে। তৃতীয়  দফার অপারেশনে পা থেকে মাংশ এনে স্থাপন করা হয় হাতের ক্ষত স্থানে।

জান্নাতের দাদা জানান, তিনি পেশায় দিনমজুর। জান্নাতের বাবা পোষাক কারখানায় স্বল্প বেতনে চাকুরী করে। নাতনিকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি। পূর্ণ সুস্থ্যহতে আরও সময় লাগবে। স্বল্প আয় দিয়ে জান্নাতের  চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা এখন কষ্টকর হয়ে পরেছে। বিক্রি করার মতো ভিটে মাটিও নেই তাদের। শিশুটিকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হৃদয়বান ও বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য গত ১৩ অক্টোবর সকাল সোয়া সাতটারদিকে শিশুটির মা নাদিরা বেগম তাকে কোলে নিয়ে আত্ন হত্যা করতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলসড়রকের শ্রীপুর স্টেশনের উত্তর পাশে কাটাপুল এলাকায় দ্রুত গতির ৪৯ আপ বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুটির মা ট্রেনে কাটা পরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে মারাযায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় কোলে থাকা শিশু জাকিয়া জান্নাত।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই