তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নেই ফুটপাত

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নেই ফুটপাত ও ওভারব্রীজ,বাড়ছে মৃত্যু
[ভালুকা ডট কম : ২৪ ডিসেম্বর]
ফুটপাত হচ্ছে প্রধান সড়কের পাশাপাশি তৈরিকৃত জনসাধারনের পায়ে হাটার পথ। আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফুটপাত থাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওভারব্রীজ থাকা অতীব জরুরী তথা বাঞ্চনীয়। পথচারীর পথ চলা সুযোগ নয়, এটা তাদের অধিকার। ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ ৬০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে নেই কোন ফুটপাথ ও কোন ওভার ব্রীজ।

উক্ত মহাসড়কের দুপাশ ঘিরে উঠেছে বাসা-বাড়ি। রয়েছে গ্রাম্য পরিবেশে জনসাধারনের পথ চলা। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই বের হয় কাজের সন্ধানে। রাস্তার পাশের গ্রামের লোকজন মহাসড়কের উপর দিয়ে পথ চলে। পায়ে হেটেই চলে ছোট ছোট গন্তব্য স্থানে। যেখানেই প্রয়োজন হয় না কোন যানবাহনের। এছাড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসাতেও ফুটপাত ও ওভারব্রীজ না পাওয়ায় মহাসড়ক ব্যবহার করাই তাদের একমাত্র পথ। ফলে মহাসড়কের চলমান দ্রুততম যানবাহনের চাঁকার পিষ্টে নিষ্পেশিত হয় জীবন। জীবনের সাথে সাথে হারিয়ে ফেলে দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের স্বজনদের ভবিষ্যত।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, প্রতি বছর প্রায় অর্ধ শত পথচারীর মৃত্যু ঘটছে। এছাড়াও পথচারীদেরকে বাচাঁতে গিয়ে যানবাহন চালক ও তাঁর গাড়ীর যাত্রীদেরকে প্রাণ দেওয়ার অসংখ্য ঘটনাই ঘটে। ফলে সড়ক দূর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় কোথাও নেই কোন ওভার ব্রীজ। রাস্তার কার্পেটিং ছাড়া ফুটপাতের জন্য আলাদা পৃথক কোন মাটির বা পাকা কোন পথ নেই। মহাসড়ক থেকে সরে দাড়ানোর জন্য নেই কোন আলাদা ব্যবস্থা। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে কোন মতে মহাসড়কের উপর দিয়েই পথ চলতে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ সদর বাসস্ট্যান্ড ও ময়মনসিংহ জেলা সদর বাসস্ট্যান্ডেও নেই কোন ওভারব্রীজ। এছাড়া উক্ত মহাসড়কে প্রায় ৩০টির মতো বাস স্ট্যান্ড রয়েছে। মহাসড়কের দুপাশ ঘিরে উঠেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসকারি প্রতিষ্ঠান সহ হাট-বাজার। এসমস্ত এলাকাই পথচারীরা দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকা, বড়পুল নামক স্থান, নান্দাইল চৌরাস্তা, নান্দাইল সদর, কানারামপুর নামক এরকম ১০/১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে যেখানে ফুটপাত সহ ওভারব্রীজ প্রয়োজন। নান্দাইল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানাগেছে, গিত বছরে প্রায় শতাধিক দূর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক পথচারীর মৃত্যু ঘটেছে।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলার মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা, মহাসড়কের দুপাশে মাটি ভরাট করে গ্রামীণ পথচারীদের জন্য আলাদা পৃথক রাস্তা তথা ফুটপাত তৈরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়ার জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ খান জানান, উক্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফোর লেনে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট দিয়েছি। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া জানান, মহাসড়কের পাশে দিন দিন অপরিকল্পিতভাবে বাসা-বাড়ি গড়ে উঠছে। এটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব ও জনসংখ্যা বৃদ্ধিরও অন্যতম কারন। তবে মহাসড়কে দিয়ে কেউ হাটবে এমন ব্যবহার আমি মনে করি ঠিক নয়। তবে এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহ-টু-কিশোগরঞ্জ মহাসড়কের পাশে ফুটপাত তৈরী ও ওভারব্রীজ তৈরীর কোন উদ্যোগ আমাদের হাতে নেই। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই