তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মান্দায় সরকারি সম্পত্তি দখলের মহা উৎসব

নওগাঁর মান্দায় সরকারি সম্পত্তি দখলের মহা উৎসব,চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
[ভালুকা ডট কম : ০২ জানুয়ারী]
নওগাঁর মান্দায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি সম্পত্তিতে একের পর এক অবৈধ ভাবে দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় চিহ্নিত প্রভাবশালী  দখলদাররা। আত্রাই নদীর উভয় তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের সম্পত্তি দখল করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও নিরব রয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা। এতে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

স্থানীয়দের দাবী, স্থাপনা নির্মাণের সময় অভিযোগ দেয়া হলে শুধুমাত্র নোটিশ দিয়েই দায় এড়িয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। দখলদারেরা সেই নোটিশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না কখনো। পাউবোর লোকজনের ম্যানেজ করে এরইমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকশ স্থাপনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, তালপাতিলা মোড়ে পাউবোর সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন শাহিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। এ মোড়ে থেকে এক কিলোমিটার দূরে উত্তর চকরামপুর ঘোষপাড়া মোড়ে দোকানঘর নির্মাণ করছেন আলহাজ ফিরোজ হোসেন।

এ দুটি স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের জন্য গত বুধবার নোটিশ জারী করেছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিশ অমান্য করে গত শুক্রবার শাহিনুর রহমান নির্মিত ভবনে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। অন্যদিকে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন আরেক দখলদার ফিরোজ হাজী।

দখলদার ফিরোজ হাজী পাউবোর একোয়ারভূক্ত সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার এলাকার আশপাশে অনেক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তারা ওইসব স্থাপনায় বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছেন। আমিও ব্যবসা করার জন্য দোকানঘর নির্মাণ করছি।নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য পাউবোর নোটিশ পেয়েছেন কী না এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বুধবার তাকে একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পরে যা হয় হবে।

অন্যদিকে দখলদার শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমার নির্মিত ঘরে কশব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস হবে। তাই নোটিশের তোয়াক্কা না করে কাজ করছি। কশব ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশ বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় জানিয়েও কোন কাজ হয় না। তারা নাম মাত্র নোটিশ করেই থেমে যান। এর পেছনে অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে থাকতে পারে।

এছাড়া পার প্রসাদপুর বিশ্ববাঁধের (পাউবোর) সরকারি সম্পত্তি দখল করে কাঞ্চন গ্রামের জনৈক ব্যক্তি দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই। বিশ্ববাঁধের  পাউবোর এ সরকারি সড়কটি এরশাদ সরকারের ১৯৮৮-৮৯ সালে নির্মাণ করা হয়। সড়কের কোন কোন স্থান  দেড়শ থেকে ২২৬ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত। কিন্তু স্থানীয় কিছু দখলদাররা নিজের খেয়াল খুশিমতো সড়কের মাত্র ১৫ ফুট রেখেই ছোটবড় কাঠ-বাঁশের টিনের ঢোপসহ ইটের পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে নিজে ব্যবসা করার পাশাপাশি ৫০হাজার থেকে এক লাখ টাকা সিকিউরিটি নিয়ে ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছেন না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কের ৩৭ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা অবৈধ। তারপরেও থেমে নেই সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ। যেন দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চোখে মুখে কূলুপ এঁটে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান জানান, সব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে নোটিশ করা হয়েছে। এটি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তিনি অবৈধ লেনদেনের অভিযোগটি অস্বীকার করেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই