তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে সমাজসেবা অফিসে আদায়ের অভিযোগ

তজুমদ্দিনে সমাজসেবা অফিসে বয়স্ক ভাতার নগদে হিসাব খুলতে টাকা আদায়ের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১০ জানুয়ারী]
ভোলার তজুমদ্দিনে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য নগদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সমাজের গরীব অসহায় ভাতাভোগীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার তজুমদ্দিন উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনে। সে অনুয়ায়ী নতুন ভাতাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদে হিসাব খুলতে জনপ্রতি ৩শত থেকে ৫শত টাকা করে উত্তোলন করেন।

নগদের কর্মিদের সহায়তায় সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মি নুরুজ্জামান এসব টাকা উত্তোলন করেন। ভাতাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিং নগদে হিসাব খুলতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে সামনে এসে তথ্য সংগ্রহের কাজে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকরা কৌশলে হিসাব খোলার নামের ভাতাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করেন। তজুমদ্দিন উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য প্রায় ৪ হাজার লোক অনলাইনে আবেদন করেন। প্রথমিকভাবে ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৮শত লোক বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য নির্বাচিত হয়।

সোমবার (১০ জানুয়ারী) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাতাভোগীরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসলে নগদে ভাতার হিসাব খুলতে ৩শত থেকে ৫শত করে উত্তোলন করেন সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মি (ভারপ্রাপ্ত ফিল্ড সুপারভাইজার) মোঃ নুরুজ্জামান। জানতে চাইলে ভোক্তভোগী চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কয়সর আহাম্মেদ জানান, আমি আইলে অফিসের স্যারে মোবাইলে হিসাবের কথা কই পাঁচশ টিয়া চাইলে আমি তিনশ টিয়া দেই।

ভাতাভোগী চাঁদপুর ২নং ওয়ার্ডের আছিয়া, সাফিয়া ও শহিদুল্যাহ বলেন, সোমবার (১০ জানুয়ারী) সকালে নগদে হিসাব খোলার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসলে অফিসের নুরুজ্জামান ও নগদের লোকজন একজন একজন করে ডেকে টাকা নিয়ে নগদে হিসাব খুলে পিনকোড দেন। অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং করে বাহিরে কাজ করার জন্য এসব টাকা উত্তোলন করা হয়। সোমবার (১০ জানুয়ারী) সরকারী কোন কাজের জন্য গরীব মানুষের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি সমাজসেবা কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম জানান, এবিষয়ে সমাজসেবা অফিসের লোকজনের সাথে আলোচনা না করে কিছুই বলতে পারবো না। ভোল জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সমাজসেবার ভাতার জন্য কোন টাকা নেয়ার বিধান নেই। কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সেটি একেবারেই নাযায়েজ কাজ। তারপরও টাকা নিয়ে থাকলে ভাতা ভোগীদের নিকট ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন দুলাল বলেন, সমাজসেবার ভাতাভোগীদের হিসাব খুলতে টাকার নেয়ার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। দূর্ণীতির সাথে আমার কোন আপোষ নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#



 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই