তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে গণসৌচাগার না থাকায় যত্রতত্র মাল ত্যাগ

তজুমদ্দিনে গণসৌচাগার না থাকায় যত্রতত্র মাল ত্যাগ করছে মানুষ  
[ভালুকা ডট কম : ১৩ জানুয়ারী]
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কোন গণসৌচাগার না থাকায় যত্রতত্র খোলা আকাশের নিচে মাল ত্যাগ করছে সাধরণ মানুষ। এতে করে একদিকে যেমনি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে রোগ বালাইয়ের ঝুঁকি। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধীক মানুষের বসবাস। কিন্তু হাট-বাজারগুলোতে আসা ক্রেতা সাধারণের মল ত্যাগ করার জন্য নেই কোন গণসৌচাগার। যে কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাট-বাজারে সাধরণ মানুষ মল ত্যাগ করেন যত্রতত্র খোলা আকাশের নিচে। এতে করে যেমনি হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ সাথে বাড়ছে রোগ বালাইর ঝুঁকি। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। অথচয় উপজেলার বাজারগুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী বার্ষিক আয়ের ১৫ শতাংশ হাট-বাজার উন্নয়নে খরচ করার নীতিমালা থাকলে এখানে তা করা হয়না বলে জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সপ্তাহের প্রতিদিনই কোন না কোন বাজারে হাট বসে। বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা হাজারো পুরুষ, নারী ও শিশুরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বিপাকে পড়েন সকলে। বাজারগুলি ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হলেও ক্রেতাদের জন্য নির্মাণ করা হয়নি কোন গণসৌচাগার।

শশীগঞ্জ বাজারে মালামাল ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মোঃ শরীফ বলেন, আমি প্রতিদিনই এই বাজারে মালামাল ক্রয় করতে আসি। বাজারে যখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে অনেক সমস্যায় পরি। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশসনের নিকট এই সমস্যা সমাধানের জোড় দাবী যানাচ্ছি।

রিক্সার ড্রাইভার আবুল কালাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন এই বাজারে দিন-রাত রিক্সা চালাই। কিন্তু কোন টয়লেট না থাকায় টয়লেট করতে অনেক দিক-বিদিক ছুটাছুটি করতে হয়।  জানতে চাইলে শশীগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী শংকর শীল বলেন, দীর্ঘদিন বাজারে ব্যবসা করি কিন্তু কোন টয়লেট না থাকায় প্রকৃতির প্রয়োজন হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। প্রকৃতির প্রয়োজন সাড়তে বাসায় যেতে হয়। শশীগঞ্জ দক্ষিণ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার বলেন, একজন মানুষ ক্ষুদার সময় না খেয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারে কিন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে পাড়ে না। তাই তজুমদ্দিন উপজেলার বড় বড় বাজারগুলোতে জনসাধারণের জন্য গণসৌচাগার অবশ্যই প্রয়োজন।

তজুমদ্দিন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্টস ডা. আফতাব উদ্দিন খান বলেন, সাধারণ মানুষ যত্রতত্র মলত্যাগ করার কারণে মল পানিতে মিশে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত অনেকে। তজুমদ্দিনে দীর্ঘদিন জ্বরে আক্রান্ত রোগী, টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত যে পরিমাণ রোগী দেখছি তার বরিশালেও পাইনি। তবে পর্যাপ্ত গনসৌচাগারের ব্যবস্থা করা গেলে ৭০% পানিবাহীত রোগ কমে যাবে বলে মনে করে এই বিশেজ্ঞ ডাক্তার।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, ইজারার টাকা থেকে বাজার উন্নয়নের নীতিমালা অনুযায়ী করোনার জন্য কাজ করা যায়নি। সামনের দিকে আলাপ আলোচনা করে বাজার উন্নয়নের কাজ করা হবে। জমির সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য গণসৌচারগার করা যাচ্ছে না। জমির ব্যবস্থা হলেই গণসৌচাগারের সমস্যা দ্রুত সময়ে সমাধান করা হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই