তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা নিয়ে সরগরম রাজনীতি

জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা নিয়ে সরগরম রাজনীতি
[ভালুকা ডট কম : ০৫ এপ্রিল]
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। যদিও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখনো দেড় বছরের বেশি সময় বাকি  রয়েছে; কিন্তু এরইমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকালীন সরকারসহ বিএনপির জাতীয় সরকার ফর্মুলা নিয়ে রাজনীতির মাঠ সরব হয়ে উঠেছে।গত দু’ মাস ধরে বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকারের দাবি নিয়ে বক্তব্য আসতে শুরু করে। সম্প্রতি জাসদ নেতা আসম আব্দুর রব এক জনসভায় জাতীয় সরকার প্রসঙ্গটি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবার জন্য যেমন নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে তেমনি নির্বাচন পরবর্তী দু’ বছরের জন্য  একটি সর্বদলীয় জাতীয় সরকার থাকতে হবে গণতন্ত্রের সুষম বিকাশের জন্য।

এ প্রেক্ষাপটে বিএনপির পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনকলীন সরকার বিষয়ে নতুন ফর্মুলা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে- নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে; ওই নির্বাচনে বিজয়ী হলে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।বুধবার (৩০ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলনকারী সকল দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

একই দিনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলীয়  কার্যালায়ে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে খোলাসা করে বলেছেন, ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে, যারা এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে থাকবে তাদেরকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করা হবে।

তবে আওয়ামী লীগ মনে করছে- এসব দাবি অসাংবিধানিক এবং নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা মাত্র। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সংবিধানে জাতীয় সরকারের কোনো বিধান নেই। তাছাড়া এর কোনো  প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও আমরা মনে করি না। নির্বাচন হবে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে- এটা আমাদেরও প্রত্যাশা।তবে জাতীয় পার্টি বলেছে, জাতীয় সরকার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। আর বাম জোট বলছে, বিএনপির 'জাতীয় সরকার' মানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশের বাস্তবতায় প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা মনে করি দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার আমরা চাই। আমাদের প্রধান এজেন্ডা হবে এ ইস্যুতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা। কিন্তু তার আগে জাতীয় সরকারের বিষয়টা নিয়ে আসা মানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া।রাজপথের ক্রিয়াশীল দলগুলোর মধ্যে সংবিধান, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করার প্রশ্নে বিশ্বাসযোগ্য বোঝাপড়া দরকার। বিএনপির জন্য যেমন দরকার, বিরোধী দলগুলোর মধ্যেও দরকার। তা হলেই আন্দোলন শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও মনে করেন- বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়া উচিত। বিএনপি জাতীয় সরকারের যে ফর্মুলা দিয়েছে এটা থিওরিটিক্যালি আকর্ষণীয়, তত্ত্বগতভাবে সবাইকে নিয়ে কাজ করা। উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক বিরোধের অবসান ঘটানো। কিন্তু কীভাবে কার্যকর করবে তার ওপর সবকিছু নির্ভর করবে।

জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান অথবা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন- এ প্রসঙ্গ তিনি বলেন, দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সম্ভব নয়।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই