তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণ

পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণ
[ভালুকা ডট কম : ১২ এপ্রিল]
পার্বত্য চট্রগ্রামের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে আজ সকালে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবে মেতেছে পাহাড়ী তরুণ তরুণীরা ।চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণের এই উৎসবকে চাকমা জনগোষ্ঠী বিজু, মারমা জনগোষ্ঠী সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু ও ম্রো জনগোষ্ঠী চাংক্রান নামে উদ্যাপন করে থাকে।

করোনার কারণে গত দু’বছর উৎসব আযোজন সীমিত ছিল। আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুলবিজু উপলক্ষে রাঙ্গামাটি  শহরের রাজবাড়ীঘাট, পলওয়েল পার্ক, কেরানী পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন, সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানিতে ফুল ভাসানো হয়।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে এবং পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে, তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। পানিতে ফুল ভাসিয়ে বিশ্ব মহামারি থেকে মুক্তির জন্য গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনাই যেন ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালায় পাহাড়ের মানুষ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাড়িতে যেতে না পারা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ফুল ভাসিয়ে বিজু-সংগ্রাই-বৈসু-বিষু-চাংক্রান উৎসব পালন করে। উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।এরপর জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে হল থেকে বিজু-সংগ্রাই-বৈসু-বিষু-চাংক্রান ২০২২ উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় মাইকে বাজছিল বিজুর গান ‘তুরু তুরু তুরু তুরু’। শোভাযাত্রাটি টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দিবসটি উপলক্ষে সমাবেশ হয়। সমাবেশে মূল বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের ছাত্রী হেমা চাকমা।এতে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর আজ মঙ্গলবার পার্বত্য চট্রগ্রামের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি উপলক্ষে এক বাণীতে এদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর সমান অগ্রগতি ও বিকাশ কামনা করেছেন।পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বিজু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে ফখরুল বলেন, এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। আমাদের জাতীয় সত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস। পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য আমাদের দৈশিক চেতনার অন্যতম স্তর। আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সমন্বিত রুপের অংশ পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর ঐশ্বর্যমণ্ডিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য।#


 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

বিনোদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই