তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যানজট নিরসনে খুলে দেয়া হলো দুই উড়ালসড়ক

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে
যানজট নিরসনে খুলে দেয়া হলো দুই উড়ালসড়ক
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পযন্ত সড়ক পথ চার লেন করা হয়েছে কয়েক বছর হয়েছে। কিন্তু সড়কের গাজীপুরের নাওজোড় ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকার দুইটি উড়াল সড়কের কাজে ছিল ধীর গতি। মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনের জন্য কিছু কাজ বাকি রেখেই খুলে দেয়া হলো ওই দুই উড়ালসড়ক।কোনো আনুষ্ঠানিকতা না করেই সোমবার দুইটার দিকে এক যোগে গাজীপুরের নাওজোড় ও সফিপুর বাজারের উড়ালসড়ক দুইটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

এলাকাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছর করোনার প্রভাবের কারণে মানুষ তেমন ভাবে ঈদে বাড়ি যেতে পারেনি। তাই এবার ব্যাপক ভাবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে ছুটে যাবে গ্রামের বাড়ি। ঈদের ছুটি শুরু হলেই মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। এবারও সেই আশঙ্কাতেই আছেন ঘরমুখো মানুষ। অধিকাংশ এলাকাতে সড়কের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হলেও যানবাহনের চাপের কারনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিনে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাসেক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে উড়ালসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। করনোর কারনে কাজের ব্যাঘাত ঘটনায় ওই কাজ শেষ হতে বেশ সময় লেগে যায়। ওই উড়াল সড়কে দৈর্ঘ্য ৮১০ মিটার। এর ব্যায় ধরা হয়েছিল ৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এছাড়া সফিপুর বাজারে নির্মাণ করা হয় এক হাজার ২৬২ মিটার দৈঘ্যের উড়ালসড়ক। সেটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের জুনে। দুইটি উড়াল সড়কের সংযোগ সড়ক নির্শান হলেও সেখানে কার্পেটিং করা হয়নি। লাইটিংসহ বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। আর কয়েকদিন পর ঈদযাত্র শুরু হবে। ওই সময়ে যাতে যানজট না হয় সেই চিন্তা করে সোমবার দুপুর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উড়াল সড়ক দুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এইসব কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিক উত্তরবঙ্গের। এছাড়াও ঢাকা ও  নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে প্রবেশ করে উত্তরবঙ্গে। একদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ঘরমুখো মানুষ নবীনগর হয়ে চন্দ্রায় প্রবেশ করে আর গাজীপুর সদর, টঙ্গী, শ্রীপুরের শ্রমিকরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি হয়ে প্রবেশ করবে চন্দ্রা ত্রিমোড়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে ঈদে ২৩ টি জেলার মানুষ যাতায়াত করে। যার কারণে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে এখানেই। তাই বেশ কিছু দিন ধরে এলাকাবাসী উড়ালসড়ক দুটি খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।

সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন  বলেন, ওই পথে যানবাহন বাড়লেও যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রকল্প কর্মকর্তাদের উড়াল সড়ক দুটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে তারা উড়ালসড়ক দুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়।

সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহানা ফেরদৌস বলেন, গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পযন্ত সড়কের আজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন কয়েকটি উড়ালসড়কের ও ফুডওভার ব্রীজের কাজ বাকি ছিলো। গাজীপুরের উড়ালসড়ক দুটি কাজ বাকি থাকলেও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাতটি ফুডওভার ব্রীজের মধ্যে ২ টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, চারটি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই