তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে আদালতের নির্দেশে মাদ্রাসার কমিটি স্থগিত

তজুমদ্দিনে আদালতের নির্দেশে আড়ালিয়া মাদ্রাসার কমিটি গঠন স্থগিত,অফিস ভাংচুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৬ মে]
ভোলার তজুমদ্দিনে আদালতের নির্দেশে মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম ম্যানেজিং কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়েছে। মাদ্রাসার অফিস কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় অধ্যক্ষ ও জমিদাতারা একে অপরকে দায়ী করে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ১৩ জুন শেষ হবে। কিন্তু কমিটির মেয়াদ থাকতেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম ও সহকারী অধ্যাপক মাও. মহিউদ্দিন গত ১৭ এপ্রিল কমিটি গঠনের জন্য সকলকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন। পরে প্রতিষ্ঠানে জমিদাতা হিসেবে নতুন কমিটিতে সদস্য হওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট আগ্রহ প্রকাশ করেন আড়ালিয়া ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হাসানুজ্জামানের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম ও সহকারী অধ্যাপক মাও. মহিউদ্দিন সু-কৌশলে জাকিরকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রকৃয়া শুরু করার বিষয়টি জানতে পেলে জাকির হোসেন আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত কমিটি গঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আলী কমিটি গঠন প্রকৃয়া স্থগিত করে দেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে কে বা কারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম বাদী হয়ে জাকির হোসেনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে জমিদাতা সদস্য জাকির হোসেন বাদী হয়ে অধ্যক্ষের অফিস ভাংচুরের ঘটনায় অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম, সহকারী অধ্যাপক মাও মহিউদ্দিন ও নৈশ প্রহরী নিজাম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

জাকির হোসেন জানান, অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ও নৈশ প্রহরী রাতে আধারে সুকৌশলে অফিস থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে ও আসবাবপত্র ভাংচুর করার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই আমি উক্ত তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

মাও. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শওকত আলী বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১২ মে আমরা সকাল থেকেই কমিটির গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু করি। কিন্তু প্রতিমধ্যে আদালতের স্থগিত আদেশ পাওয়ার পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার অফিস কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দু’টি অভিযোগ পেয়ে আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই