তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাজস্ব বাড়লেও আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি

রাজস্ব বাড়লেও আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি রাণীনগরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি হাটে,ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা
[ভালুকা ডট কম : ২৬ মে]
নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী কালিবাড়ি হাটের বর্তমানে বেহাল দশা। প্রতিবছর সরকার এই হাট থেকে চার লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করলেও আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই হাটটিতে আজ পর্যন্ত স্পর্শ করেনি। প্রতিদিনই হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এবং বিক্রি করতে এসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

সরেজমিনে জানা যায়, শত বছর ধরে উপজেলার কেন্দ্রীয় হাটের সেবা দিয়ে আসছে কালীবাড়ি হাট। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জীর্নশীর্ন হাটটি ভেঙ্গে নতুন করে বিক্রেতাদের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে শেড নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে আধুনিকতার আর কোন কাজই হাটটিতে স্পর্শ করেনি। অথচ প্রতিবছরই হাটটির ইজারার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু হাটের উন্নয়নকল্পে কোন পদক্ষেপই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে না। যার কারণে হাটের গুরুত্বপূর্ন অংশ মাছ বাজারের শেডের অবস্থা খুবই নাজুক। হাটের অন্যান্য স্থানের চেয়ে মাছ বাজারের শেডটি নিচু হওয়ার কারণে সব সময় হাটু পানি জমে থাকে। হাটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন যাবত হাটের পানি বের হওয়ার ড্রেনের কোন সংস্কার না করায় বৃষ্টির সময় একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পড়ে পুরো হাটটি ময়লা-আর্বজনা যুক্ত নষ্ট পানিতে ভরে থাকে। যার কারণে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। হাটে প্রবেশের মুখের ড্রেনের অবস্থা এতটাই নাজুক যে শীত-গ্রীষ্ম সব সময় ওই খানে হাটু পানি জমে থাকেই। বর্তমানে এই হাটে প্রবেশ করলেই চলাফেরা করতে বিড়ম্বনার শেষ নেই।

অথচ সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতিবছর হাট থেকে আদায় হওয়া ইজারার মোট অর্থের এক শতাংশ টাকা হাটের উন্নয়নকল্পে ব্যয় করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউই এক টাকাও ব্যয় করেনি। এছাড়াও প্রতিদিন হাট পরিস্কার কাজে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মিত হাট পরিস্কার না করার কারণে হাটুরিরা নিজেরাই হাটের প্রধান রাস্তার এখানে-সেখানে নষ্ট হওয়া কাঁচা পণ্যগুলো মজুত করে রাখার কারণে দুর্গন্ধে হাটে একটু সময় থাকার জো থাকে না। সরকারের এমন জনগুরুত্বপূর্ন স্থাপনার উন্নয়ন বঞ্চিত বেহাল অবস্থার কারণে সরকারের অঙ্গিকার শহরের ছোঁয়া গ্রামে গ্রামে পৌছে দেওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

হাটের ইজারাদার মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, হাটের এই করুন অবস্থার কারণে হাটে আসা বিক্রেতারা অনেক সময় টোল দিতে চান না। এতে করে আমি হাটের ইজারার টাকা আদায় করা নিয়ে দারুন শংশয়ের মধ্যে রয়েছি। আমি উপজেলা প্রশাসনকে হাটের এমন দূরবস্থার কথা একাধিকবার জানিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পেলাম না।

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চন্দনা শারমিন রুমকি বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই হাটের বেহাল অবস্থার কথা স্থানীয় সাংসদ এবং উপজেলা প্রশাসনকে সব সময়ই জানিয়ে আসছি কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। এই হাটটিই হচ্ছে ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় আয়ের উৎস। তাই হাটটিকে যদি আধুনিকায়ন করা হয় বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা যদি আধুনিকায়ন করা হয় তাহলে হাটের ইজারা মূল্য আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো। এতে করে সরকারের যেমন রাজস্ব বৃদ্ধি হতো পাশাপাশি মানসম্মত সেবার মানও অনেকগুন বৃদ্ধি পেতো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, আমি ঐতিহ্যবাহী এই হাটের বেহালদশার কথা শুনেছি। দ্রুত হাটটি পরিদর্শন করে আধুনিকায়ন করতে যা যা করার প্রয়োজন তার পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই