তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত,চরম আতঙ্কে নদীতীরবর্তীরা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুন]
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২০ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে পানি বিপদসীমার ৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলের ফসলিজমিসহ বসতভিটা তলিয়ে গেছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী মানুষ ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে, পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শিকার মানুষগুলো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। ঘাস ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে।এছাড়াও পানি বৃদ্ধির কারনে জেলার আভ্যন্তরীন ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীতে পাণি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনায়েতপুর খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া জানান, ব্রাহ্মন গ্রামের অন্তত ২০টি বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষাও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ জানান, চরাঞ্চলের প্রায় সব স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। চরগুলোতে পানি উঠায় গবাদী পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী  জানান, ইতোমধ্যে বসতবাড়ীর চারপাশে পানি থৈথৈ করছে। যেহারে পানি বাড়ছে তাতে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বসতভিটায় পানি উঠে যাবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৗশলী নাসির উদ্দিন জানান, যমুনার পানি বর্তমানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রন চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর  ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কিছুই নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই