তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় কৃষক মেতেছে আমনের চারা রোপনে

দীর্ঘ খরার পর ক্ষেতে ক্ষেতে বৃষ্টির পানি
ভালুকায় কৃষক মেতেছে আমনের চারা রোপনে  
[ভালুকা ডট কম : ০৫ আগস্ট]
ভালুকায় লাগাতার কয়েক দিনের খরা ও তাপদাহ শেষে মুশলধারে বৃষ্টির পানিতে ভরা জমিতে কৃষক মেতেছে আমন ক্ষেত তৈরী ও ধানের চারা রোপনের বিরামহীন কর্ম ব্যস্ততায়। যাদের অল্প জমি রয়েছে তারা নিজেরাই একটু একটু করে জমিতে চারা রোপন কাজ সম্পন্ন করছেন। যারা বেশী জমিতে আমন আবাদ করছেন তারা শ্রমিক দিয়ে হাল চাষ ও চারা রোপন কাজ সম্পন্ন করছেন। সময় মত চারা রোপন করতে না পারলে ভাল ফলন পাওয়া যাবেনা।

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উঁচু নীচু ও সমতল তিন ধরণের জমিতে আমন আবাদ হয়ে থাকে। বীজতলায় চারা রোপনোপযোগী হওয়ার সময় হলে ক্ষেত তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরেন কৃষকরা। বৃষ্টি না হলেও শুকনো জমিতে পানি সেচ দিয়ে কমপক্ষে তিনটি চাষ দেওয়ার পর মঈ দিয়ে মাটি মসৃন ও সমতল করে হালকা পানিযুক্ত নরম কাদা মাটিতে ধানের চারা রোপন সহজ হয়। অনেকে জানান দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কারনে এ মৌসুমে আমন আবাদ অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তবে দেরিতে হলেও গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচুর বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় ক্ষেত তৈরী ও ধানের চারা রোপনে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।

বৃহস্পতিবার সরজমিন উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে গেলে কৃষক নাছির উদ্দীনের ক্ষেতে আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত শ্রমিকদের সাথে কথা হয়। শ্রমিক নুরুল ইসলাম জানান দীর্ঘ সময় খরার পর বৃষ্টি হওয়ায় এখন আমনের চারা রোপনে তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে। প্রতি কাঠা জমি রোপনে তারা ৪০০ টাকা করে মজুরী পাচ্ছেন। একজন শ্রমিক একদিনে দুই কাঠা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারেন। তারা জানায় লাইন লগু পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করছেন এতে যেমন কম সময়ে বেশি জমি লাগানো সম্ভব তেমনি ধানের চারা সাশ্রয় ও ক্ষতি কম হয়।

একি ইউনিয়নের আঙ্গারগাড়া আখালিয়া গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন জানান এ মৌসুমে তিনি ১২ কাঠা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ৫ কাঠায় স্বর্ণমালা ও ৭ কাঠায় রঞ্জিত জাতের ধান রোপন করছেন। তিনি জানান প্রতি কাঠা জমি চাষ বাবদ ৩০০ টাকা ও প্রতি কাঠা জমিতে ধানের চারা রোয়া বাবদ ৪০০ টাকা করে শ্রমিকদের মজুরী দিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান  জানান চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন চালের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদের জন্য কৃষকদের সরকারী প্রনোদনা হিসেবে ৫২০ জন চাষীর প্রত্যেককে ৫ কেজি ধান বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে।

এছারা কৃষকদের অধিক ফলনশীল আগামজাত স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ যেমন ব্রী-ধান ৭১, ব্রী-ধান ৮৭, বীনা ধান ৭ চাষে উদ্বুদ্ধ করন ও লাইন লগু পার্চিং (এল এল পি) পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপনের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। স্বল্প জীবনকাল সমৃদ্ধ আমন ধান চাষ করলে ওই জমিতে ধান কাটার পর সরিষার আবাদ করা যায়। সরিষা উঠিয়ে ওই জমিতে আবার বোরো ধানের আবাদ করা যায়। এতে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই