তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে কবরস্থান দখলের অভিযোগ

সখীপুরে কবরস্থান দখলের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ আগস্ট]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ষড়যন্ত্র করে শত বছরের কবরস্থান ভূমিহীন বন্দোবস্তের নামে জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে সৌদী প্রবাসী শাহিন মিয়া ও তার স্ত্রী রোমা আক্তারের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে উপজেলার বেড়বাড়ী টানপাড়া গ্রামের ১৭৬১ দাগের ২০শতাংশ জমি ভূমিহীন বন্দোবস্তো আনলেও ২০২২ সালে এসে জোরপূর্বক ১৭৬৩ দাগের স্থানীয় শুকুর মামুদ ও তার পরিবারের শত বছরের কবরস্থানের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। ভূমিহীন শাহিন মিয়া বেড়বাড়ী গ্রামের বৃত্তবান লেবু পীরে সাহেবের ছেলে। যিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে অবস্থান করছেন। যার লাখ লাখ টাকা মাসিক আয়। নিজের এবং বাবার কোটি টাকার সম্পত্তিও রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি শাহিন ও তার বাবার কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকার পরেও কীভাবে তারা ভূমিহীন হন। তারা ভূমি হীন বন্দোবস্তের নামে শত বছরের কবরস্থান দখল করে একটি নিন্দনীয় কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে কবরস্থানের জমিটি উদ্ধার এবং ভূমিহীন বন্দোবস্তের স্থগিত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন শুকুর মামুদের ছেলে সহিদুর রহমান। এতেও কোন সুরাহা হয়নি। চলে নানা তাল বাহানা।

জানা যায়, যাদবপুর ইউনিয়নের বেড়বাড়ী মৌজার বেড়বাড়ী টানপাড়া গ্রামের শুকুর মামুদ তার বাপ-দাদার আমল থেকে প্রায় শত বছর ধরে ১৭৬৩ দাগের ২০ শতাংশ জমি পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। ভূমিহীন বন্দোবস্তো নিয়ে গত ৩০ জুন শাহিনের বাবা লেবু পীর সিনেমাস্টাইলে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অর্ধ শতাধিক হিজরা দিয়ে ওই কবরস্থানের জমিটি দখলে নেন। এ সময় জমির ওপর রোপনকৃত শতবছরের ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলেন এবং কবরস্থানের উপর ঘর নির্মাণ করে চারদিকে সীমানা বেড়া দিয়ে দেন। বাধা দিতে গিয়ে দাওয়া পাল্টা দাওয়ায় উভয় পক্ষের লোকজনও আহত হন। থানায় মামলাও করেন উভয় পক্ষ। বেশ কয়েক দফা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টাও করেন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার ও হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। কিন্তু লেবু পীরের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি সমাধানে আগ্রহ দেখাননি। উল্টো গত ১৭ জুলাই টাঙ্গাইল আদালতে শুকুর মামুদ ও তার দুই ছেলে সহিদুর রহমান এবং সজীব আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ১০ লাখ টাকা চাদা দাবির মামলা করেন লেবু পীর।

শুকুর মামুদ এবং তাদের পরিবারের দাবি শাহীন এবং তার বাবা অডেল সম্পত্তির মালিক হয়ে নিজেদের ভূমিহীন দাবি করে গোপনে তাদের শত বছরের কবরস্থান ভূমিহীন বন্দোবস্ত নিয়েছেন। তারা তাদের বাপ-দাদার কবরস্থান অচিরেই দখলমুক্ত এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি চান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ধলা জমিটি বাপ-দাদার আমল থেকে পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে শুকুর মামুদের পরিবারের দখলে ছিল তা নিশ্চিত করেছেন।এ ব্যাপারে হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারনে বিলম্ভ হয়েছে। দু চারদিনের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসায় বসা হবে। সমাজের একজন বৃত্তবান কীভাবে ভূমিহীন হিসেবে খাস জমি বন্দোবস্ত নেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি তার বোধগম্য নয় বলে জানান।

যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিনের একটি জটিলতা। উভয় পরিবার নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে ।=লেবু পীর সাহেবের মুঠোফোনে বৃত্তবান হয়ে কীভাবে নিজেকে ভূমিহীন দাবি করে জমি বন্দোবস্ত নিলেন জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন বৃত্তবান ব্যক্তি ভূমিহীন বন্দোবস্ত পেতে বা দাবি করতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই