তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস

সখীপুরে জীবনের ঝুকি নিয়ে মাটির ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস
[ভালুকা ডট কম : ১৯ আগস্ট]
মাদ্রসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চলছে মাটির ঘরে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস। ঝুঁকিপূর্ণ এই দীর্ঘদিনের পুরাতন এই মাটির ঘরেই প্রতিদিন ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় প্রযুক্তিগত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ‘মওলানাপাড়া সালাফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা’র প্রায় চারশত শিক্ষার্থী।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী এই এলাকার ‘মওলানাপাড়া সালাফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ১০৫ ফিট লম্বা জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘর। সেই ঘরের ভিতরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। আকস্মিক ঝড় বৃষ্টিতে যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে এই মাটির ঘর। অন্যকোন উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে স্থাপিত ‘মওলানাপাড়া সালাফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা’টি প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর ১৯৮৫ সালে এমপিওভূক্ত হয়। ওই বছরই এলাকার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মাটির কোটা ঘর নির্মান করা হয়। বর্তমানে এই মাদ্রাসার আশেপাশে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন মাদ্রাসা নাই। এই মাদ্রাসায় একসাথে বিজ্ঞান, মানবিক, মোজাব্বিদ ও হিফজুল কোরআন অথাৎ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চারটি শাখায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হয়। বর্তমানে এই মাদ্রাসার ১৮ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী আছে। এনটিআরসি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা এই মাদ্রাসার অবকাঠামোগত অবস্থা দেখে তারা যোগদান করতে চায়না। ভবনগত সমস্যার কারনেই অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর স্বল্পতা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানায়, জেলা পরিষদ থেকে দুইটা টিন সেট ভবন পেয়েছি তার একটিতে শিক্ষকদের বসার রুম, অন্যটি মেয়েদের কমন রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমরান বলেন, এ মাদ্রাসা ছাড়া বর্তমান আশপাসে কোথাও কোন স্কুল বা মাদ্রাসায় মাটির ঘর নেই। এই মাটির ঘরের মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলাম সামনে ইন্টার মেডিয়েট পরীক্ষা দিবো, এই সময় টুকুতে শিক্ষকদের মুখে শুধু শুনেই গেলাম আমাদের শ্রেনিকক্ষ বিল্ডিং হবে। কিন্তু কবে যে হবে তা আল্লাই জানে।

মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. তালিবুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নত না থাকায় অনেক ছেলে মেয়ে ভর্তি হতে চায়না। বাধ্য হয়েই দীর্ঘদিনের পুরাতন মাটির ঘরেই ক্লাস নিচ্ছি। ঘরের টিনের চাল মরচে ধরেছে, মাটির দেয়ালও ফাটা ধরেছে। এতে যে কোন সময় একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই সবসময় আশঙ্কায় থাকি। আমাদের একটি পাকা ভবনের খুবই প্রয়োজন।

মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ২০২০ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় এই মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি একটি ভবন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন কিন্তু এখনো পাই নাই।

এ বিষয়ে উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় একটি মাত্র মাদ্রাসাই মাটির ঘর যা প্রতিষ্ঠানের শুরুতেই নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই মাদ্রাসাটি ওই দূর্গম এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে ভালো ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করতে এই মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন খুবই প্রয়োজন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই