তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মিশ্র ফল বাগান করে স্বাবলম্বী রমজান

ভালুকায় মিশ্র ফল বাগান করে স্বাবলম্বী রমজান
[ভালুকা ডট কম : ২৫ আগস্ট]
ভালুকার আখালিয়া গ্রামে বিভিন্ন ফল ফলাদির মিশ্র বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রমজান আলী নামে এক যুবক। ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার আখালিয়া গ্রামে গেলে কথা হয় রমজান আলীর সাথে। তিনি জানান ২০০২ সালে এস এস সি পাশ করার পর সংসারের টানাপোরেনে তার আর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি। অভিশপ্ত বেকার জীবনের বোঝা বইতে বইতে এক সময় মাথায় আসে নিজে কিছু করে সংসারের হাল ধরার।

ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ২০১১ সালে বসতবাড়ী সংলগ্ন আধা পাহাড়ী অসমতল ৫ বিঘা জমিতে শুরু করেন বিভিন্ন ফলের মিশ্র ফল বাগান। প্রথম দিকে মাটি তৈরী চারা ক্রয় ও আনুষাঙ্গিক মিলে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হয়। বাগান করার তিন বছরের মাথায় উৎপাদিত ফল বিক্রি করে আসল টাকা উঠে আসে।গত বছর বাগান থেকে ৬০ হাজার টাকার মাল্টা,৫০ হাজার টাকার আম,২০ হাজার টাকার ড্রাগন ও ৩০ হাজার টাকার অন্যান্য ফল বিক্রি করেছেন। এ বছর মাল্টা ও অন্যান্য ফলের ফলন ভাল হয়েছে।

এক দিকে সারি সারি গাছে ঝুকে রয়েছে মাল্টার ছরা। একপাশে মাচার উপর কাটায়ভরা ড্রাগন, আম, পেপে ও নানা ফলের গাছ। রমজান আলী জানান বাগানে রয়েছে আফ্রিকান হলুদ মাল্টা,বারি মাল্টা (১) বারি মাল্টা(২) ভিয়েতনামি বারমাসি কমলা,দার্জিলিং, পাকিস্তানি ও চায়না থ্রি কমলা,আম হিম সাগর, থাই বেনেনা মেংগু, মিয়াজাকি, হুরমতি, লেংড়া, থাই কাটিমন (বারমাসি) চিয়াংমাই ইত্যাদি আম। এছারা রয়েছে ড্রাগন, পেপে টপলেডি, এবাকাডো, বরই বল সুন্দরী, থাই সীডলেস কুল ও সাথে নানা শাখ সবজি। বাগানে বার্মি কম্পোজড জৈব সার প্রয়োগ করায় ফল আকারে বড় ও সুস্বাদু হয়।

তিনি জানান লেবু গাছে গ্রাফটিং করে নিজেই উন্নত জাতের মাল্টার চারা উৎপাদন করে বাগানের পরিধি বিস্তার করে চলেছেন। পাশাপাশি অন্যান্য ফল বাগানের চাষীদের চাষাবাদের জন্য প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে বিনিময়ে সন্মানী পেয়ে থাকেন। বৃদ্ধ পিতা আঃ জব্বার ফকির, স্ত্রী নাফিসা আক্তার, ও দুই ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) ও জারিফ আহম্মেদ (১) কে নিয়ে ৫ জনের সংসার। স্ত্রী নাফিসা গৃহ কর্মের পাশাপাশি বাগান পরিচর্যায় সব রকম সহযোগিতা করে থাকেন। তার মিশ্র ফল বাগানটি আরও বড় পরিসরে করার লক্ষে দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। গত কয়েক বছরের উৎপাদিত ফল বিক্রি করে তিনি মোটামোটি লাভবান হয়েছেন। তার মতে সামান্য আবাদযোগ্য জমি থাকলে মিশ্র ফলের বাগান করে যে কেউ বেকার জীবনের অভিশাপ হতে মুক্তি পেয়ে স্বাবলম্বী জীবন গড়তে পারে অনায়াসে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই