তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় পেপে চাষে মৌফিজ মিয়ার সাফল্য

ভালুকায় টপলেডি পেপে চাষে মৌফিজ মিয়ার সাফল্য
[ভালুকা ডট কম : ০৬ সেপ্টেম্বর]
ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারগাড়া গ্রামে টপলেডি জাতের পেপে আবাদ করে ব্যাপক সফলতা অর্জণ করেছেনে মৌফিজ মিয়া নামে এক কৃষক। একের ভিতর দুই কাঁচা পেপে সবজি পাঁকা হলে ফল। কাঁচা পেপে তরকারী, ভাজি, ভর্তা হিসাবে সকলের কাছে সমাদৃত আর পাঁকা পেপে রোগীর পথ্য হিসেবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ায় সর্বত্রই এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বর্তমানে ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে পেপের আবাদ বেড়ে গেছে। ভালুকার উৎপাদিত পেপে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।

৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সরজমিন আঙ্গারগাড়া গ্রামে গেলে দেখাযায় বাগানের সারি সারি গাছে জরাজরি ঝুলে আছে লম্বাকৃতির ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের সবুজ পেপে । তদারকি করছিলো পেপে চাষী মৌফিজ মিয়া । তিনি জানান বাড়ি সংলগ্ন ১০ কাঠা জমিতে টপলেডি জাতের পেপের আবাদ করে মোটামোটি অর্থনৈতিক সফলতা পেয়েছেন। সংসারের অভাব অনটন অনেকটা দুর করতে পেরেছেন। জমি চাষ, বীজ ক্রয়, চারা তৈরী, চারা রোপন, পারিচর্যা, সার কীটনাশক ও যাবতীয় কাজ কর্ম বাবদ প্রায় এক লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। পেপের চারা সাধারণত ফাল্গুন চৈত্র মাসে লাগানো হয়। আবহাওয়া অনুকূল হলে সার কীটনাশক দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ১২০ দিন অর্থাৎ ৪ মাসের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়।

তিনি জানান সম্পুর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে কীটনাশক ও সার দিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা করেন। কৃষি বিভাগের কোন লোকজন তার ক্ষেতে এ পর্যন্ত আসেননি। একটি গাছ পর্যায়ক্রমে একাধারে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত প্রতি মৌসুমে ফল দিয়ে থাকে। এ বছর শুরুর দিকে অনাবৃষ্টির কারনে বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তদুপরি নলকূপের পানি সেচ দিয়ে গাছগুলি সতেজ রাখতে পারায় মোটামোটি ভাল ফলন হয়েছে। তিনি জানান ঝাড় জংলার ১০ কাঠা চালা জমির আগাছা পরিষ্কার করে শক্ত মাটি চষে নরম বানিয়ে চাষোপযোগী করে তাতে গত বছর বাধা কপির আবাদ করে প্রায় দুই লাখ টাকা কপি বিক্রি করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই ফেলে রাখা পতিত জমিতে পেপে বাগান করে সংসারে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়েছেন।

বর্তমানে স্থানীয় বাজারে খুছরা বিক্রেতারা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কাঁচা পেপে বিক্রি করছেন। গাছ থেকে পেপে নামিয়ে বাজার জাত করার জন্য স্থানীয় ফরিয়ারা কাগজে মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করেন। পরে ট্রাকভরে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পাইকারী দামে বিক্রি করেন। সর্ব সাকুল্য খরচ বাদ দিয়ে চলতি মৌসুমে পেপে বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা মুনাফা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছারাও ধান, সবজি, কলা সহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেন তিনি। ফসলের সাথে বাড়ীর পাশে ছোট আকারে একটি পোল্ট্রি খামারও করেছেন। এ থেকেও একটি ভাল অংকের আয় হয়ে থাকে। যা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার কাজে ব্যায় করে থাকেন। স্ত্রী আয়েশা খাতুন গৃহ কর্মের পাশাপাশি কৃষি কাজে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেন। ছেলে সোহাগ (২০) অনার্স লেখাপড়া করছে, বড় মেয়ে মণি আক্তার (১৫) এস এস সি পরীক্ষার্থী, ছোট মেয়ে জান্নাত (৮) চতূর্থ শ্রেণীতে পড়ে।

ভালুকার হবিরবাড়ী, মল্লিকবাড়ী, চাঁনপুর, ডাকাতিয়া, আঙ্গারগাড়া, উথুরা, নয়নপুর, কাদিগড়, পাড়াগাঁও সহ বিভিন্ন গ্রামে পেপের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছর ২৯০ হেক্টর জমিতে টপলেডি ও রেড লেডি জাতের পেপে আবাদ হয়েছে। পেপে লাভ জনক ফসল হওয়ায় চাষীরা আবাদে বেশী আগ্রহী হচ্ছেন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই