বেনাপোলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর উদ্বোধন
[ভালুকা ডট কম : ২০ সেপ্টেম্বর]
বেনাপোলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার, বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, অধিকার আদায়ে সংগ্রাম ও তাঁর কর্মজীবনের বিভিন্ন ঘটনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে রেল কর্তৃপক্ষের এ আয়োজনকে প্রশংসা করেন তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন মহোতি উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এখান থেকে নতুন প্রজন্মরা বিনোদনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবনী, আদর্শ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে পারবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা দীন ইসলাম দীনু, বেনাপোলরেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান প্রমুখ।

জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।সেখানে ১২ টেবিলে স্থাপন করা হয়েছে জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাসের প্রতিচ্ছবি, ব্যবহৃত চশমা, পাইপ, মুজিব কোর্ট, বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লেখা চিঠি, টুঙ্গিপাড়া সমাধিস্থলসহ ১৩ টি ঐতিহাসিক ছবি। জাদুঘরটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গৌরবের প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ মুক্তি সংগ্রামের দূর্লভ চিত্রসমূহ স্থান পেয়েছে।

বেনাপোল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘরটি এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বিনা টিকিটে প্রদর্শণ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এ জাদুঘরটি। এখানে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে। পরে, ২২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর থাকবে নাভারণ স্টেশনে, ২৫ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর মোবারকগঞ্জ স্টেশন, ২৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দর্শনা স্টেশন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রদর্শণী করবে।

গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ নামে দুটি রেল কোচ জাদুঘরের উদ্ধোধন করেন। একটি পশ্চিমাঞ্চল ভ্রাম্যমান রেল কোচ জাদুঘর, আরেকটি পূর্বাঞ্চল ভ্রাম্যমান রেল কোচ জাদুঘর।

আগস্টের প্রথম দিন রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গোপালগঞ্জ রেলস্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এ প্রদর্শণী কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন। শিডিউল অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ রেল কোচ জাদুঘরটি ১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গোপালগঞ্জ রেল স্টেশনে এলাকার জনগণকে বিনা টিকিটে দর্শন করিয়ে ৬ থেকে ৭ আগস্ট কাশিয়ানী স্টেশন, ৯ থেকে ১০ আগস্ট ভাটিয়াপাড়া ঘাট স্টেশন, ১২ থেকে ১৩ আগস্ট মধুখালী জংশন, ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট রাজবাড়ী স্টেশন, ১৯ থেকে ২০ আগস্ট ফরিদপুর স্টেশন, ২২ থেকে ২৩ আগস্ট পাংশা স্টেশন, ২৫ থেকে ২৬ আগস্ট কুমারখালী স্টেশন, ২৮ থেকে ২৯ আগস্ট কালুখালী জংশন, ৩০ থেকে ৩১ আগস্ট কুষ্টিয়া স্টেশন, ২ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর খুলনা স্টেশন, ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর স্টেশন, ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বও নওয়া পাড়া স্টেশন ও ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর যশোর রেল স্টেশনে দর্শণ করিয়েছিলো।

এছাড়া, শিডিউলের পূর্বাঞ্চলীয় জাদুঘরটি ১ থেকে ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, ৫ থেকে ৭ আগস্ট ভাটিয়ারী স্টেশন, ৭ থেকে ৯ আগস্ট সীতাকুন্ড স্টেশন, ৯ থেকে ১১ আগস্ট চিনকি-আস্তানা স্টেশন, ১১ থেকে ১৫ আগস্ট ফেনী জংশন, ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট গুনবতী স্টেশন, ১৬ থেকে ১৯ আগস্ট নাঙ্গলকোট স্টেশন, ১৮ থেকে ২৩ আগস্ট লাকসাম জংশন, ২৪ থেকে ২৫ আগস্ট চৌমোহনী স্টেশন, ২৬ থেকে ২৭ আগস্ট মাইজদী কোর্ট স্টেশন, ২৮ থেকে ২৯ আগস্ট নোয়াখালী স্টেশন, ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর স্টেশন, ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বও কুমিল্লা স্টেশন, ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর আখাউড়া স্টেশন, ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন, ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ভৈরব স্টেশন, ১৩ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর নরসিংদী স্টেশন, ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টঙ্গী জংশন, ১৭ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্টে প্রদর্শণী করে সমাপ্তি হয়েছে।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।