তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা উপজেলার কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে

ভালুকা উপজেলার কার্যক্রম চলছে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে
[ভালুকা ডট কম : ২১ সেপ্টেম্বর]
শিল্প ও শিক্ষানগরী ক্ষ্যাত ভালুকা উপজেলা। ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুটি জনগুরুত্বপুর্ণ পদে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ভালুকা উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে সরকারি সেবা প্রদানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ইউএনও সালমা খাতুন ২বছর কর্মস্থলে কর্তব্য পালনের পর  মাতৃত্ব জনিত কারনে ছুটি নিয়ে চলে যাওয়ায় অতিরিক্ত ইউএনও’র দায়িত্ব পালন করছেন পাশের গফরগাঁও উপজেলার  ইউএনও মোঃ আবিদুর রহমান।সপ্তাহে (বুধবার ও বৃহস্পতিবার)দু’দিন দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।দুই উপজেলার শিক্ষা,স্বাস্থ্য,আইনসৃঙ্খলা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের তদারকি করছেন তিনি। তবে একা হলেও দুই উপজেলা নিয়মিতই চষে বেড়াচ্ছেন ।

ভালুকা উপজেলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী এবছরের মে মাসে উচ্চতর আইন প্রশিক্ষনের জন্য ছুটি নিয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ায় পাশের উপজেলা ত্রিশালের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সপ্তাহে দ’ুদিন(সোমবার ও বুধবার) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

ভালুকা উপজেলা অত্যন্ত জনগুরুত্ব পুর্ণ এলাকা। সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল অফিসের কার্যক্রম। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত দ’ুদিন বসার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। জোড়াতালি দিয়ে চলছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও নামজারিসহ অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ। ফলে ভূমি জটিলতা নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে ভূমি মালিকদের। নামজারির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবা নিতে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১১ ইউনিয়নের ভূমি মালিকদের। এমনি মত ব্যক্ত করলেন নামজারি করতে আসা কয়েকজন ভুমি মালিক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত একজন বলেন,মাসে ৫/৬শত নামজারি আবেদন হয়। আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী স্যার আসার পর হতে এপর্যন্ত  নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও প্রায় কয়েক হাজার নামজারীর আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় পরে আছে।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, অতিরিক্ত)মোঃ আবিদুর রহমান বলেন, একাই সব দেখা তো সম্ভব নয়। সবার সহযোগীতা পেলে দায়িত্ব পালনে তেমন অসুবিধা হবেনা। একা হলেও দুই উপজেলার জনগণকেই কাঙ্খিত সেবা দিতে চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।

ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,ভালুকার মতো গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলতে পারেনা।তিনি আরো বলেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কাজ নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে সমাধান করা সম্ভব।কিন্তু উপজেলা ভূমি অফিসে দক্ষ কর্মকর্তা না আসলে নামজারী করতে আসা লোকজন আরো বেশি হয়রানির শিকার হবে।পুর্বের  ও বর্তমান (এ্যসিলেন্ট) কর্মকর্তা বাদে ভালুকার মতো গুরত্বপুর্ণ এলাকায় দক্ষ কর্মকর্তা দেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই