তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে রাণীনগরে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
[ভালুকা ডট কম : ১৪ জানুয়ারী]
নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। শীত মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৬-১৫ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে ইরি-বোরো ধান রোপনের মৌসুম চলে আসায় বর্তমানে জেলার রাণীনগর উপজেলার কৃষকরা ঘনকুয়াশা ও কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো ধান রোপনের কাজ শেষ করেছে কৃষকরা। কৃষকরা আশা করছেন দ্রুতই এই বৈরী আবহাওয়া কেটে যাবে আর সময়মতো বোরো ধান রোপনের কাজ শেষ করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৯হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে আর বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ১২শত হেক্টর জমিতে। এই বীজতলা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বোরো ধানের চারা কৃষকরা জেলার অন্যান্য স্থানেও চালান করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪হাজারের বেশি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের উন্নতমানের বোরো ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তবে বর্তমান মৃদু শৈতপ্রবাহ যদি বেশিদিন না থাকে তাহলে উপজেলার কৃষকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বোরো ধান রোপনের কাজ শেষ করতে পারবেন বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক লোকমান আলী বলেন আমাদের অধিকাংশ জমিগুলো বিল এলাকায় হওয়ার কারণে একটু আগেই বোরো ধান রোপন করে থাকি যেন বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি জমার আগেই বোরো ধান আমরা ঘরে তুলতে পারি। তবে আমন মৌসুমে দেশের কৃষকরা স্মরণকালের ভালো দাম পেয়েছে তাই এবার কোন কৃষকই আর জমি ফেলে রাখবে না। এছাড়াও বাজারে  পর্যাপ্ত পরিমাণে সারও পাওয়া যাচ্ছে তাই এই মৌসুমে সার নিয়ে কোন চিন্তা নেই কিন্তু কীটনাশক থেকে শুরু করে অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের ও বর্গাচাষীরা হিমশিম খাচ্ছি। এই বিষয়ে আমি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ হচ্ছে উত্তরের খাদ্যভান্ডার। তাই এই অঞ্চলের কৃষকরা একটু আগেই ধান রোপনের কাজ শুরু করেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীত মৌসুমে কয়েকদিন সূর্যের আলো পাওয়া না গেলেও এখন আবহাওয়া অনেকটাই বোরো ধান রোপনের অনুক’লে রয়েছে। এছাড়া ঘরকুয়াশা দীর্ঘ না হওয়ার কারনে বোরো বীজতলারও তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। মৃদু শৈতপ্রবাহ শুরু থেকে কৃষকদের বোরো বীজতলা রক্ষা বিষয়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। আমি আশাবাদি আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এছাড়া কৃষকরা যেন তাদের প্রয়োজন মাফিক সার সঠিক সময়ে পান সেই লক্ষ্যে সারের বাজার সার্বক্ষণিক কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সারের মজুদ থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ সার নিয়ে কারসাজি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেয় তাহলে আমি আশাবাদি আমনের মতো বোরো মৌসুমেও কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই